তিনি আরও লেখেন, ‘প্রতি বছর এই ঐতিহাসিক দিনে শ্রদ্ধা, ভালোবাসার সঙ্গে আমরা বীর শহিদদের তর্পণ করি। শুধু তাঁরাই নন, দেশ এবং দশের আন্দোলন করতে গিয়ে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের সকলকে এদিন স্মরণ করি। একইভাবে এই দিনটিকে আমরা ‘মা-মাটি-মানুষ দিবস’ হিসেবে পালন করি এবং আমাদের গণতান্ত্রিক জয়গুলি এদিন মানুষকে উৎসর্গ করি।’
২১ জুলাই শহিদ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে এসপ্ল্যানেডে। এই দিন রাজ্যবাসীকে সেখানে আহ্বান জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সাধারণ মানুষ এদিনের সভা-তে উপস্থিত থাকবেন অন্যান্য বছরগুলির মতোই, আশাবাদী মমতা। তাঁর সংযোজন, ‘২১শে জুলাই অশ্রু সজল রক্তে লেখা নাম, শহিদ স্মরণে রইলো মোদের হাজার হাজার সেলাম।’
উল্লেখ্য, ২১ জুলাইয়ের জন্য রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার ধর্মতলার সমাবেশস্থল পরিদর্শ করেছেন খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। মঞ্চ এবং আশেপাশের এলাকার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিনীত গোয়েল বলেন, ‘আমাদের কাছে মূলত তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক রাখা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’ সমস্ত ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য তারা প্রস্তুত বলেও জানান কলকাতার পুলিশ কমিশনার। পাঁচ বছর পর রবিবার দিন ২১ জুলাই। ফলে অফিস, স্কুল, কলেজ এদিন ছুটি। রাস্তায় অপেক্ষাকৃত চাপ কম থাকবে। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ২৯টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। আসন সংখ্যা কমেছে বিজেপির। পাশাপাশি রাজ্যের চার কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনেও একচেটিয়া দাপট দেখিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের কথায়, এই বছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে রেকর্ড ভিড় হতে চলেছে বলে আশাবাদী তাঁরা।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, উত্তীর্ণ,নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের গেস্ট হাউসগুলিতে জেলা থেকে আগত কর্মী সমর্থকদের থাকার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা সারা হয়েছে।