ময়লা ফেললে জরিমানা, পাতা পোড়ালেও শাস্তি! সক্রিয় পুরসভা – calcutta municipality have to pay fines for littering the streets


রাস্তায় জঞ্জাল ফেলার আগে সাবধান! তা না হলে এই ভুলের খেসারত হিসেবে মোটা টাকা ফাইন দিতে হতে পারে পুরসভাকে। কারা রাস্তায় জঞ্জাল ফেলছে তার উপর নজর রাখতে শহরে টহল দেওয়া শুরু করেছেন কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগের আধিকারিকরা। হাতেনাতে ধরা পড়লেই নেওয়া হচ্ছে ‘স্পট ফাইন’।রাস্তায় আবর্জনা কিংবা প্লাস্টিক ফেলে রাখলেও মোটা টাকা জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। গাছের পাতা কিংবা জঞ্জাল পোড়ালেও নেওয়া হচ্ছে কড়া ব্যবস্থা। পুরকর্মীরাও তার থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। কারণ, পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগের কর্মীরা অনেক সময় রাস্তায় পড়ে থাকা গাছের পাতা এবং আবর্জনা এক জায়গায় জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন।

তার জেরে দূষিত হয় শহরের পরিবেশ। সেটা আটকাতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছেন পুর কমিশনার। জঞ্জালের হাত থেকে বাঁচতে বড় বড় গাছের গোড়া থেকে ট্রি-গার্ড খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। তার কারণ, ট্রি-গার্ডের মধ্যে আবর্জনা ফেলার প্রবণতা বাড়ছে। দিনের পর দিন তা গাছের গোড়ার জমে থাকছে।

এর ফলে একদিকে যেমন গাছের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি দৃশ্য দূষণের কারণও হয়ে উঠছে। পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, ব্রিটিশ আমল থেকে কলকাতা পুর আইনে রাস্তায় থুতু কিংবা আবর্জনা ফেললে জরিমানা নেওয়ার বিধান রয়েছে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় মেয়র থাকার সময়ে রাস্তায় জঞ্জাল ফেললে জরিমানা আদায় করা হতো। তিনি নিজেও লাঠি হাতে রাস্তায় বেরোতেন। পরবর্তীতে তা বন্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের রাস্তায় জঞ্জাল পড়ে থাকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করায় নড়েচড়ে বসেছে পুর কর্তৃপক্ষ। রাস্তায় নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের মতো স্পট ফাইন আদায়ের উপর জোর দিতে চাইছে পুরসভা। সে জন্য নির্দেশিকা জারি করেছেন পুর কমিশনার। রাস্তায় আবর্জনা ফেলার জন্য কত টাকা স্পট ফাইন আদায় হচ্ছে সে ব্যাপারে প্রতি সপ্তাহে পুর কমিশনারের কাছে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে জঞ্জাল সাফাই বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে।

সংযোজিত এলাকায় নিকাশি বেহালে ভোগান্তি মহানগরে

পুর আইন অনুযায়ী, জরিমানা দেওয়ার পরেও যদি সেই ব্যক্তি আবার একই অপরাধ করেন সেক্ষেত্রে তাঁকে দ্বিগুণ জরিমানা দিতে হবে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, রাস্তা, ফুটপাথ, ফাঁকা জমি, বাগান কিংবা খেলার মাঠে আবর্জনা ফেললে ৫৮০ টাকা জরিমানা নেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে জরিমানা বাবদ ৮১১ টাকা আদায় করছে পুরসভা।

জলাশয়ের মধ্যে আবর্জনা ফেললে ২৩২ টাকা নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, নার্সিংহোম কিংবা কোনও ধর্মীয় স্থানে আবর্জনা ফেললে ১১৫৮ টাকা জরিমানা নিচ্ছেন পুরকর্মীরা। পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘কেউ কোথাও জঞ্জাল ফেলছে কিনা, তা দেখার জন্য আমাদের অফিসাররা রাস্তায় ঘুরছেন। কাউকে জঞ্জাল ফেলতে দেখলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে স্পট ফাইন আদায় করছি। একই সঙ্গে আমরা মানুষকে সচেতন করছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *