এদিকে ২৯ আসনে জয় আনন্দের হলেও আত্মতুষ্টির অনুঘটক যেন সেখানে কাজ না করে সেই বিষয়েও নিজের কলমে দলকে সতর্ক করেছেন অভিষেক। মানুষের ভরসার বিনিময়ে ২১ জুলাই তাঁদের পাশে থাকার, পরিষেবা দেওয়ার অঙ্গীকারের বার্তা দলের সেনাপতির।
নিজের লেখায় নিট দুর্নীতি নিয়েও মুখর অভিষেক। ‘তৃতীয়বারের জন্য এনডিএ সরকার গঠিত হওয়ার পরপরই দেশ সাক্ষী থেকেছে, স্বাধীনতার পরবর্তী সবথেকে বড় শিক্ষা দুর্নীতির মধ্যে একটি, নিট পরীক্ষার দুর্নীতি’, লিখেছেন তিনি। এনডিএ সরকারকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে তোপ দেগেছেন তিনি।
পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও তিনি নিশানা করেছেন কেন্দ্রকে। লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে টেনে অভিষেক লিখেছেন, ‘কয়েকটি জায়গায় আমাদের প্রার্থীগণ দুর্দান্ত লড়াই করেও, বাংলা-বিরোধীদের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের ফলে পরাজিত হয়েছেন’। এই প্রার্থীদের লড়াই থেকে শিক্ষা নেওয়ার বার্তাও দিয়েছেন অভিষেক। কোনও খামতি থাকলে সংবেদনশীলতার সঙ্গে তা বিচার করার বার্তা অভিষেকের।
একইসঙ্গে সেনাপতির সতর্কবার্তা, অহংকারকে পদলেহন করে মানবিকতার পথে চলতে হবে দলীয় নেতা-কর্মীদের। কর্মী, সহযোদ্ধা এবং সমর্থকেরাই ‘দলের মেরুদণ্ড, শক্তি’। আগামীর কঠিন লড়াইয়ের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর বার্তা, ‘১৯৯৩ সালে আজকের দিনে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যেভাবে গর্জে উঠেছিল সারা বাংলা, সেইভাবেই নেত্রীর আদর্শায়িত পথে আগামীর পথেও এগোতে হবে’।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, সংগঠন-এনডিএকে আক্রমণ-আগামীর দিশা, সমস্ত দিক নিয়ে বার্তা তুলে ধরেছেন অভিষেক। উল্লেখ্য, গত বছর ২১ জুলাইও দলীয় মুখপাত্রে লিখেছিলেন অভিষেক। এদিনের সভা থেকে তিনি কী বার্তা দেন, এখন সব নজর সেই দিকেই।