গত এক, দু’বছরে নিয়োগ সংক্রান্ত একগুচ্ছ অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার চাকরি দিতে চায়, কিন্তু বিরোধীরা মামলা করে তা আটকে দিচ্ছে। আর ২১শে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ থেকে ফের একবার সেই অভিযোগই তুললেন মমতা। বার্তা দিলেন, চাকরিহারাদের পাশে থাকারও।রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার কাছে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি প্রস্তুত রয়েছে। একটা কাজ করতে যাচ্ছি, তো আদালতে গিয়ে পিআইএল করছে। কখনও বলছে ২৬ হাজারের চাকরি খাই, কখনও বলছে ৪২ হাজারের চাকরি খাই। কখনও বলছে ওবিসি উঠিয়ে দাও।’ এরপরেই রীতিমতো মমতার সাফ বার্তা, ‘কারও চাকরি যাবে না। ওবিসি নিয়েও আমরা লড়ছি। আমরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। ২ কোটির উপরে মানুষকে আমরা ওবিসি সার্টফিকেট দিয়েছি। তারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে ৩ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে এসএসসি-র চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, ৩ সপ্তাহ পরে মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে। ফলে আপাতত ঝুলেই রয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার ভবিষ্যৎ। গত ১৬ জুলাইয়ের শুনানিতে মামলার সমস্ত নথি আরও গুছিয়ে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। নথিতে কবে কোন অভিযোগ জমা পড়েছে, বা এর আগে কোনদিন আদালত কী নির্দেশ দিয়েছে, তার বিস্তারিত টাইমলাইন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই গোটা প্রক্রিয়াটির জন্য কয়েকজনকে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। আদালতের আরও নির্দেশ, ২ সপ্তাহের মধ্যে ৫ পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জানাতে হবে। সেই সমস্ত তথ্য জমা দিলে তারপর হবে শুনানি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে ৩ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে এসএসসি-র চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, ৩ সপ্তাহ পরে মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে। ফলে আপাতত ঝুলেই রয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার ভবিষ্যৎ। গত ১৬ জুলাইয়ের শুনানিতে মামলার সমস্ত নথি আরও গুছিয়ে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। নথিতে কবে কোন অভিযোগ জমা পড়েছে, বা এর আগে কোনদিন আদালত কী নির্দেশ দিয়েছে, তার বিস্তারিত টাইমলাইন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই গোটা প্রক্রিয়াটির জন্য কয়েকজনকে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। আদালতের আরও নির্দেশ, ২ সপ্তাহের মধ্যে ৫ পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জানাতে হবে। সেই সমস্ত তথ্য জমা দিলে তারপর হবে শুনানি।
অন্যদিকে, গত মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বাংলায় এক লপ্তে বাতিল হয়েছে কয়েক লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট। ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
এই দুটি বিষয় নিয়েই গভীর উদ্বেগে রয়েছেন বহু মানুষ। সেক্ষেত্রে এদিন একুশের শহিদ সমাবেশ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, এগুলির বিষয়েও তাঁর নজর রয়েছে। আশ্বস্ত করেছেন, পাশে থাকার।