Bhangar News,রিয়েল এস্টেট জমি দখল, অভিযুক্ত নেতা-প্রশাসকও – allegation of possession of real estate land in bhangar against leader administrator


এই সময়: ছিল রিয়েল এস্টেট কোম্পানির জমি। অভিযোগ, ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের কেরামতিতে সেটাই হয়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতার জমি। নিউটাউন লাগোয়া ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় অবস্থিত ওই জমির বর্তমান বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। অভিযোগ, জাল দলিল বানিয়ে সেই জমি নিজের নামে করে নেন ভাঙড়ের ব‍্যাওতা ২ অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি রশিদ মোল্লা।অন্যের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রশিদ মোল্লা এবং তাঁকে সাহায্য করার অভিযোগে ভাঙড় ২-এর প্রাক্তন বিএলআরও অমিতাভ সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ। যদিও রশিদের স্ত্রী তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তুহিনা বিবির দাবি, ওই জমি রশিদের পৈতৃক সম্পত্তি। কেউ হয়তো জাল কাগজ বানিয়ে তা বিক্তি করে দিয়েছে।

ভাঙড়ের পাশাপাশি নরেন্দ্রপুরের খেয়াদা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও সরকারি খাস জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠছে। ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করে সেই জমি বিভিন্ন সংস্থাকে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সেটি আদতে জলাভূমি। জলাশয় ভরাট করে সেখানে বেআইনি ভাবে বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বেঙ্গল আবাসন বিল্ডার নামে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির তরফে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই সংস্থার কর্তাদের দাবি, জমিটি বিক্রির জন্য তাঁদের থেকে দফায় দফায় অগ্রিম নেওয়া হয়েছে। পরে তাঁরা জানতে পারেন, জমিটি আসলে একটি জলাভূমি। সেজন্য তাঁরা টাকা ফেরত চান। সেই টাকা ফেরত না দিয়ে প্লট করে জমি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি জমি বেহাত হওয়া নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের একাংশের যোগসাজশ রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। সেই জমি পুনরুদ্ধার করতে রাজ্যজুড়ে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

এরই মধ্যে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। থানায় অভিযোগের পর থেকেই গত ৫ দিন ধরে খোঁজ নেই রশিদের। তাঁর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও সেটি সুইচড অফ ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, গোটা ঘটনার সঙ্গে ভূমি দপ্তরের অফিসারদের যোগসাজশ রয়েছে। হাতিশালা এলাকায় ৩০৮ নম্বর দাগে অবস্থিত এই জমিটি প্রথমে কিনেছিল একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি।

আবাসন গড়তে আদিবাসীদের জমি দখল, ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু

জমিটি কেনার পর ইটের পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও জমিটি দখল করে নেন রশিদ মোল্লা। সম্প্রতি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির তরফে রশিদ মোল্লার বিরুদ্ধে হাতিশালা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৫, ৪০৯, ১২০বি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

রিয়েল এস্টেট কোম্পানির তরফে সরাসরি অভিযোগ করা হয়েছে, তৎকালীন বিএলআরও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নামে জমিটি মিউটেশন করিয়ে দেন। তারপর কোম্পানির তৈরি করা পাঁচিলও ভেঙে দেওয়া হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *