প্রথমদিন কেমন লাগল বিধানসভায়? মধুপর্ণা বলেন, ‘প্রথমদিন একটু নার্ভাসনেস তো ছিলই। তবে বিধানসভায় সবাই আমাকে নিজের ছোট বোনের মতো দেখছে। আশা করি, এই নার্ভাসনেসটা বেশিদিন থাকবে না।’
বাগদা উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীর থেকেও লড়াইটা আসলে ছিল তাঁর দাদা এবং বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে। লড়াইটা সহজ ছিল না। উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। উপহারস্বরূপ, রবিবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে প্রবীণ রাজনীতিবিদদের পাশাপশি তাঁকেও লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। মধুপর্ণা বলেন, ‘প্রথমবার এতগুলো লোকের সামনে বক্তৃতা দিয়েছি, একটু ভয় ছিল। একটু নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম, সবাই জানে। তবে, আগামীতে এটা আর হবে না। অভিজ্ঞতা যখন হয়ে যাবে, তখন বক্তৃতা দিতে অভ্যাস হয়ে যাবে।’
তবে, নির্বাচনের শুরু থেকেই মায়ের দেখানো পথেই হেঁটেছেন কন্যা। ভরসা, আত্মবিশ্বাস সবটুকুই মেয়ের জন্য উজাড় করে দিয়েছিলেন মমতা বালা। তাঁকে দেখেই রাজনীতির ময়দানে এগোচ্ছেন তৃণমূলের নির্বাচিত বিধায়ক। আগামী দিনে বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়া থেকে শুরু করে নিজের এলাকার মানুষের জন্য উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত হতে হবে তাঁকে। আগামী দিনেও মা সেই শক্তি জুগিয়ে যাবেন বলে জানালেন মধুপর্ণা।