স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গোডাউনেই মৃণাল রাতে থাকতেন। গতকাল রবিবার থাকায় ছুটি ছিল। সোমবার সকাল থেকে তাঁর খোঁজ করেও পাওয়া যায়নি। পরে আইসক্রিমের ফ্রিজার খুলতেই উলঙ্গ অবস্থায় মৃতদেহ পাওয়া যায় তাঁর। খবর চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
আইসক্রিম গোডাউন এর মালিক জয়ন্ত পাল চৌধুরী জানান, প্রতিদিনের মতো সেই ব্যক্তি গতকাল গোডাউনে ছিলেন। আজ সকালে ওই গোডাউনের ম্যানেজার সন্তোষ ঘোষ সকালে খোঁজ করতে থাকেন মৃণালের। দীর্ঘক্ষণ খোঁজ করা সত্ত্বেও তাঁকে না মেলায় অবশেষে আইসক্রিমের ফ্রিজার খুলতেই মৃতদেহ দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন তিনি। ঘটনা জানাজানি হতেই জড়ো হতে থাকেন এলাকাবাসীরা। অন্যদিকে, মৃত্যুর কারণ নিয়ে এলাকায় রহস্যের দানা বেঁধেছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মালদা থানার পুলিশ।
গোডাউন মালিকের দাবি, ওই ফ্রিজারের আশপাশে বেশকিছু মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে। অনেকের মতে, অতিরিক্ত নেশা করে নিজেই ফ্রিজে ঢুকে শুয়ে পড়েছিল মৃণাল। কিন্তু তাহলে উলঙ্গ অবস্থায় কেন? সেই প্রশ্ন উঠছে। মালদা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কী ভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল, সেটা বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই গোডাউনের অন্যান্য কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।