এর পাশাপাশি, দুই বিধায়ক আগামী দিনে বিধানসভায় কোনও ভোটাভুটিতে অংশ নিলে কী রকম শাস্তি হতে পারে, সেটাও চিঠিতে জানিয়ে দেন রাজ্যপাল। দুই বিধায়ককে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, শপথগ্রহণের বিষয়ে রাজ্যপালের নির্দেশ পালন করা না হলে সেটা সংসদীয় পদ্ধতি এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থী।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই শপথবাক্য পাঠ করেন দুই বিধায়ক। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের কাছে রাজ্যপালের তরফে একটি মেল এসেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। দেখা যাক কী হয়!’
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি যতদূর জানি উনি দিল্লির নির্দেশ মেনে চলেন। উনি বিধানসভার আইন মেনে চলেন কিনা সেটা বলতে পারব না।’ উল্লেখ্য, এর মাঝেই রাজ্যের আরও চারটি বিধানসভা উপনির্বাচন সংগঠিত হয়েছে। রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং মানিকতলা কেন্দ্রে চারজন নতুন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন চারজন বিধায়ককে আগামীকাল বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করানো হতে পারে বলে সূত্রে খবর। তবে, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে নতুন বিতর্ক তৈরি হল বলেই মনে করা হচ্ছে।