তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা কুর্সি বাঁচানোর বাজেট। এনডিএ জোট শরিক রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের বাঁচানোর জন্য এই বাজেট করা হয়েছে। এটা দেশের জন্য বাজেট নয়।’ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাজেট নয়। এটা কুর্সি রাখতে অন্ধ্র ও বিহারকে তোষণের বাজেট। বাংলাকে আবার বঞ্চনা। অথচ বাংলার কিছু কাজকে নকল করার চেষ্টা। দেশের মূল সমস্যাগুলির সমাধানের দিশা নেই।’ কেন্দ্রের আর্থিক ও রাজনৈতিক দেউলিয়ার প্রতিফলন বলে দাবি করেন তিনি।
বাজেটে কলকাতা-অমৃতসর ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে, অরুণাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিমের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ বরাদ্দ করা হলেও রাজ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে ঘাটাল এবং দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ কিছু ঘোষণা করা হয়নি। একটিমাত্র বাণিজ্য সড়ক নির্মাণ ছাড়া বাংলার প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য বলেই দাবি তৃণমূলের।
অন্যদিকে, বাজেট নিয়ে তৃণমূলের দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘বাজেটে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপর। সরকার দেশের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্য বিশেষ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে এবং অর্থ বিনিয়োগ করছে। খনিজ থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা, আগামী দিনে যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ হবে তার জন্য তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে।’ অমৃতসর-কলকাতা করিডোর ঘোষণার জন্য বাংলার আর্থিক উন্নতি হবে বলেও দাবি করেন সুকান্ত।
তবে, গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি খারাপ ফল করার জন্যেই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ থেকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল মুখপাত্র ঋজু দত্ত বলেন, ‘সমস্ত অ-বিজেপি রাজ্য সহ পশ্চিমবঙ্গকে আবারও উপেক্ষা করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার জন্য এই রাজ্যের বাসিন্দাদের শাস্তি দেওয়া হল।’