Calcutta High Court,থানায় আইনজীবীকে মারধর-হেনস্থা, স্তব্ধ হাইকোর্টের কাজ – calcutta high court lawyers call for strike to protest against beating and harassment of lawyers


এই সময়: জামিন যোগ্য অপরাধে ধৃত মক্কেলকে থানা থেকে ছাড়াতে গিয়ে হাইকোর্টের এক আইনজীবীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রবিবার বিকেলে সৌরভ মণ্ডল নামে ওই আইনজীবীকে গালিগালাজ, বেধড়ক মারধর করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার নেপালগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুদীপ্ত সান্যাল।প্রতিবাদে সোমবার সকালেই কর্মবিরতিতে নামেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা। অধিকাংশ এজলাসে শুনানি বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি বুঝে এ দিন দুপুরেই অভিযুক্ত সুদীপ্তকে ফাঁড়ির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনে ক্লোজ় করা হয়। তাঁর কৈফিয়ত চেয়েছে জেলা পুলিশ। ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপারের সঙ্গে সুদীপ্ত দুপুরে হাইকোর্টে হাজির হয়ে আইনজীবীদের কাছে ক্ষমাও চান।

অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সোমবার সকালেই বার অ্যসোসিয়েশন কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেয়। এক পক্ষের আইনজীবীর অনুপস্থিতিতে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে পুলিশের অতিসক্রিয়তা বা নিষ্ক্রীয়তা সংক্রান্ত বেশিরভাগ মামলা চলছে।

সেখানে আইনজীবীরা কর্মবিরতির কথা জানালে, বিচারপতি কিছুটা অসন্তোষের সঙ্গেই বলেন, ‘প্রায় সাড়ে তিন হাজার মামলা জমে। নতুন আরও মামলা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে মামলা শোনার জন্য সকালে আপনারাই বলেছেন। তার ভিত্তিতেই মামলার তালিকা তৈরি হচ্ছে। এখন আপনারাই কর্মবিরতির জন্য বলছেন। এই অবস্থায় আদালতের কিছুই করার নেই।’

দুপুর সোওয়া বারোটায় জামিন এবং আগাম জামিনের শুনানি চলছিল দু’টি ডিভিশন বেঞ্চে। বার অ্যাসোসিয়েশনের দু’জন কর্তা সেখানে কর্মবিরতির কথা বললে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সব পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত থাকলেই মামলা শোনা হচ্ছে। হেনস্থা হওয়া আইনজীবী সৌরভ বলেন, ‘এক মক্কেলের জামিন করাতে গেলে ফাঁড়ির ওই ইনচার্জ পাশের ঘর থেকে এসে কেন হেসে কথা বলছি, জানতে চান। আইনজীবী পরিচয় দিতেই শুরু হয় চড়-থাপ্পড়। চুলের মুঠি ধরে দেওয়ালে ঠুকে দিয়ে আইনজীবীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। মিথ্যে মামলাও দেওয়া হয়।’

বারে ‘রাজনীতি’ নিয়ে বিচারপতি দত্ত-র মন্তব্যে অস্বস্তি কলকাতায়

আইনজীবী নীলাদ্রী শেখর ঘোষ বলেন, ‘ওই অফিসার ক্ষমা চাইলেও, তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করে শাস্তির আবেদন করা হচ্ছে।’
এদিকে ব্রেন স্ট্রোক হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আইনজীবী কেকে মাইতি এ দিনই বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। তাঁর গলায় কাটা চিহ্ন থাকায় দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ফলে মঙ্গলবারও তাঁর মৃত্যুতে আদালতে কর্মবিরতির বিষয়ে নিশ্চিত আইনজীবীরা।

বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শঙ্কর প্রসাদ দলপতি সোমবার সন্ধ্যায় জানান, সোমবারের কর্মবিরতি চলবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার সকালে সাধারণ সভায় নেওয়া হবে। আইনজীবীর মৃত্যুতে কর্মবিরতি হলেও তা সকাল থেকে হবে কিনা, তাও ঠিক করবেন সভার সাধারণ সদস্যরা। তবে, আইনজীবীদের একাংশের দাবি, সৌরভ হেনস্থার ঘটনায় একদিন অপেক্ষা করে তারপর কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতো।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *