প্রতিদিন পেট্রাপোল দিয়ে শ-চারেক পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যায়। পদ্মাপার থেকেও প্রায় সম সংখ্যক ট্রাক সামগ্রী নিয়ে আসে। অন্যান্য সীমান্তের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি বাণিজ্য হয় পেট্রাপোল দিয়েই। বাংলাদেশে অশান্তির কারণে গত শুক্রবার থেকেই সেই বাণিজ্য বন্ধ। প্রতিদিন লোকসানের অঙ্ক ছাড়াচ্ছে কোটি কোটি টাকা। আপাতত পেট্রাপোল সীমান্তে অপেক্ষারত ট্রাকের সংখ্যা ৮১২।
আশঙ্কা, সেই সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে। পেট্রাপোল এবং তৎ-সংলগ্ন জয়ন্তীপুরে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য খাবারের দোকান, হোটেল ও মুদ্রা বিনিময়ের দোকান। সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত কয়েকশো মুটে মজুরের গত কয়েকদিন কাজ জোটেনি। খাঁ খাঁ পেট্রাপোলে বন্দরের ম্যানেজার কমলেশ সাহানি বলেন, ‘শুধু পচনশীল পণ্যের কিছু ট্রাককে বিকল্প উপায়ে ওপারে পাঠানো হচ্ছে।’
বনগাঁর ব্যবসায়ী পল্লব মিত্রর কথায়, ‘প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। রপ্তানির জন্য ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় ডিটেনশন চার্জ দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।’ এ দিন দু’দেশের শুল্ক আধিকারিকদের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশের শুল্ক দপ্তরের অনুপস্থিতিতে তা হয়নি।’
কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তের ছবিটাও এক। প্রতিদিন এই সীমান্ত দিয়ে দু’দেশের মধ্যে পাঁচশোরও বেশি যানবাহন যাতায়াত করে৷ ভারত থেকে বেশি রপ্তানি হয় নদীর পাথর ও কাঁচালঙ্কা৷ বাংলাদেশে পাথর নামিয়ে ফেরার পথে ওপারের বুড়িমারিতে আটকে পড়েছেন বেশ কিছু ট্রাকচালক। রবিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলির স্থলবন্দরেও।
হিলি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুব্রত সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ। আমদানিকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।’ শনিবার মালদার মহদিপুর দিয়ে ওপারে সোনা মসজিদ পানামা পোর্টে ২০০ ট্রাক পণ্য গিয়েছে। কিন্তু সেগুলি খালি না হওয়ায় ট্রাক ফেরত আসেনি।