India Bangladesh Border,সীমান্তে বাণিজ্য থমকে, ধাক্কা স্থানীয় অর্থনীতিতে – india bangladesh import export trade suspension four days


এই সময়, পেট্রাপোল ও কোচবিহার: টানা চার দিন ধরে বন্ধই রয়েছে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি এবং রপ্তানি বাণিজ্য। ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের মোট ৬টি স্থলবন্দরে থমকে গিয়েছে নিত্যদিনের ব্যস্ততা। বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার লোকসানের পাশাপাশি ধাক্কা খেয়েছে স্থানীয় অর্থনীতি। বনগাঁর পেট্রাপোল থেকে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা, সীমান্তের উপর নির্ভরশীল বহু মানুষ রুজি হারিয়ে বিপাকে।মুদ্রা বিনিময়, হোটেল-খাবারের দোকানের ব্যবসাতেও মন্দা। সমস্যায় ট্রাক থেকে মাল নামানোয় যুক্ত মুটে-মজদুররাও। ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার্স কোঅর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘মোট ৬০০ ট্রাক ছ’টি স্থলবন্দরের ওপারে পণ্য নিয়ে আটকে। এ পারে পণ্য বোঝাই প্রায় ১৫০০ ট্রাক দাঁড়িয়ে। আটকে রয়েছে ফল, পেঁয়াজ, লঙ্কা, পশুখাদ্য ও পাথর। দ্রুত অবস্থা স্বাভাবিক না হলে পচনশীল পণ্যগুলি নষ্ট হতে পারে। সোমবার দু’পক্ষের সম্মতিতে হিলি সীমান্ত দিয়ে ১৭ ট্রাক পেঁয়াজ এবং ২৪ ট্রাক কাঁচালঙ্কা বাংলাদেশে গিয়েছে।’

প্রতিদিন পেট্রাপোল দিয়ে শ-চারেক পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যায়। পদ্মাপার থেকেও প্রায় সম সংখ্যক ট্রাক সামগ্রী নিয়ে আসে। অন্যান্য সীমান্তের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি বাণিজ্য হয় পেট্রাপোল দিয়েই। বাংলাদেশে অশান্তির কারণে গত শুক্রবার থেকেই সেই বাণিজ্য বন্ধ। প্রতিদিন লোকসানের অঙ্ক ছাড়াচ্ছে কোটি কোটি টাকা। আপাতত পেট্রাপোল সীমান্তে অপেক্ষারত ট্রাকের সংখ্যা ৮১২।

আশঙ্কা, সেই সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে। পেট্রাপোল এবং তৎ-সংলগ্ন জয়ন্তীপুরে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য খাবারের দোকান, হোটেল ও মুদ্রা বিনিময়ের দোকান। সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত কয়েকশো মুটে মজুরের গত কয়েকদিন কাজ জোটেনি। খাঁ খাঁ পেট্রাপোলে বন্দরের ম্যানেজার কমলেশ সাহানি বলেন, ‘শুধু পচনশীল পণ্যের কিছু ট্রাককে বিকল্প উপায়ে ওপারে পাঠানো হচ্ছে।’

বনগাঁর ব্যবসায়ী পল্লব মিত্রর কথায়, ‘প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। রপ্তানির জন্য ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকায় ডিটেনশন চার্জ দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।’ এ দিন দু’দেশের শুল্ক আধিকারিকদের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশের শুল্ক দপ্তরের অনুপস্থিতিতে তা হয়নি।’

বাংলাদেশে অশান্তির জেরে ধাক্কা সীমান্ত পারের ব্যবসায়

কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তের ছবিটাও এক। প্রতিদিন এই সীমান্ত দিয়ে দু’দেশের মধ্যে পাঁচশোরও বেশি যানবাহন যাতায়াত করে৷ ভারত থেকে বেশি রপ্তানি হয় নদীর পাথর ও কাঁচালঙ্কা৷ বাংলাদেশে পাথর নামিয়ে ফেরার পথে ওপারের বুড়িমারিতে আটকে পড়েছেন বেশ কিছু ট্রাকচালক। রবিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলির স্থলবন্দরেও।

হিলি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুব্রত সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ। আমদানিকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।’ শনিবার মালদার মহদিপুর দিয়ে ওপারে সোনা মসজিদ পানামা পোর্টে ২০০ ট্রাক পণ্য গিয়েছে। কিন্তু সেগুলি খালি না হওয়ায় ট্রাক ফেরত আসেনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *