স্বাস্থ্য প্রকল্পের মেডিক্যাল সেলে এতদিন কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। এই কমিটিতে এখন স্বাস্থ্য দপ্তরে মেডিক্যাল অফিসার আছেন। এবার সেই কাজের জন্য অর্থ দপ্তরও সরাসরি চিকিৎসক রাখার বন্দোবস্ত করছে। তাতে, সরকারি কর্মীদের চিকিৎসা খরচের বিল জমা পড়ার পর তাতে কোনও জটিলতা থাকলে সেই সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সরকারি কর্মী ও পেনশন প্রাপকরা রাজ্যে সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। সপরিবারে তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পান। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যে ও রাজ্যের বাইরে তালিকাভুক্ত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক করানোর সুযোগ পান তাঁরা। স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ‘ক্যাশলেস’ পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ মেলে। ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ হলে হাসপাতালে ওই কর্মীকে কোনও বিল মেটাতে হয় না। ২ লক্ষ টাকার বেশি বিল হলে সেটা প্রকল্পের সুবিধাভোগীকে মিটিয়ে দিতে হয়। এরপর সেই বিল জমা করতে হয় সরকারের কাছে।
তবে সরকারি কর্মচারীদের একাংশের দাবি, বিল জমা দেওয়ার পরেও টাকা পেতে অনেক সময় দেরি হচ্ছে। সেই জমা করা বিল প্রথমে যায় যায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবালয়ে। এরপর সচিবালয় অনেকসময় বিলের ফাইল পর্যালোচনার জন্য অর্থ দপ্তরের মেডিক্যাল সেলে পাঠায়। মেডিক্যাল সেল বিলগুলি এতদিন বিশদ পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরে পাঠাত। তবে, স্বাস্থ্য প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল সেলে চিকিৎসক থাকলে এবার সেই কাজ দ্রুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।