Budget 2024,দেড় লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ, তবু বাজেটে হতাশ কৃষকরা – farmers disappointed with finance minister nirmala sitharaman budget


এই সময়, বর্ধমান ও কালনা: কৃষিক্ষেত্রে ১.৫২ লক্ষ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ হলেও লাভ কতটা হবে তা নিয়ে সন্দিহান চাষিরা। রাজ্যের শষ্যভাণ্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলার সিংহভাগ চাষির দাবি, এবারের বাজেটে চাষিদের জন্য কোনও দিশা দেখাতে পারেনি কেন্দ্র।জামালপুর, বর্ধমান-১ ও বর্ধমান-২ ব্লক ছাড়াও রায়না, গলসির বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যু্ক্ত। তাঁদের অনেকেই এবারের বাজেটে হতাশ। জামালপুরের সব্জিচাষি গদাধর সাহা বলেন, ‘এ বারেই আমার ১১ বিঘা জমিতে সব্জি নষ্ট হয়েছে। কোনও ক্ষতিপূরণ পাইনি, কারণ বিপর্যয় ঘোষণা করেনি সরকার। আমাদের কথা কেউ ভাবে না।’

রায়নার শ্যামসুন্দর এলাকার চাষি শেখ মৈইনুদ্দিন মণ্ডলের অভিযোগ, ‘চাষিদের কথা কেন্দ্রে থাকা কোনও সরকার ভাবেনি। আর কেউ ভাববেও না। চাষিরা ১ টাকা কেজি দরে ফসল বিক্রি করবে। আর ফড়েরা সেই ফসল ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি করবে।’

মেমারি-১ ব্লকের নুদিপুর গ্রামের আলুচাষি তরুণ ঘোষ বলেন, ‘বাজেটে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকারি ও বেসরকারি স্তরে কৃষি নিয়ে গবেষণা করা হবে। তাঁর কাছে প্রশ্ন, সারের দাম প্রতিদিন বাড়ছে, তা কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না? পিএম কিষান প্রকল্প পুরোটাই ভাঁওতা, কারও উপকার হয়নি।’

তৈলবীজ উৎপাদনে দেশকে আত্মনির্ভর করার কথা বলা হয়েছে বাজেটে। কালনার চাষি সুবর্ণ দে বলেন, ‘যা বলা হচ্ছে তাতে লাভ কতটা হবে জানি না। রাসায়নিক সার, কীটনাশকের দাম কমলে চাষিরা উপকৃত হতেন। চাষির হাতে সরাসরি টাকা পৌঁছলে উপকারে আসত।’

উল্লেখ্য, এবারের বাজেটে রাজ্যের সঙ্গে যৌথ ভাবে কৃষিতে ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। তাতে আগামী ৩ বছরে ৬ কোটি চাষি ও তাঁর জমির ডিটেল্‌স নথিভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। চলতি খরিফ মরশুম থেকে ৪০০ জেলায় ডিজিটাল ক্রপ সার্ভের কথা বলা হয়েছে।

শহরে গরিব-মধ্যবিত্তের আবাস যোজনায় বরাদ্দ ১০ লক্ষ কোটি

আগামী দু’বছরে ১ কোটি চাষিকে ন্যাচারাল ফার্মিংয়ের সঙ্গে যুক্ত করার কথা বাজেটে বলা হয়েছে। যেটা মূলত রাসায়নিকমুক্ত চাষ। পূর্বস্থলী-১ ব্লকের জাহান্নগরের চাষি তপন সরকার বলেন, ‘রাসায়নিকমুক্ত চাষ ফসল ও মানব শরীর উভয় দিক থেকেই ভালো। তা ছাড়া রাসায়নিক সারের দামও বেশ বেড়ে গিয়েছে। তাই ন্যাচেরাল ফার্মিং হলে ভালোই হয়।’

রাসায়নিক সারে ভর্তুকি ১.৬৪ লাখ কোটি টাকায় রাখা হয়েছে। গত অর্থবর্ষে যা ছিল ১.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা। চাষিদের বক্তব্য, রাসায়নিক সারের দামে ভর্তুকি বাড়ালে উপকার হতো।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *