Mousuni Island,ভয়াবহ ভাঙন, নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা মৌসুনি দ্বীপের – river erosion at mousuni island south 24 parganas


ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির অন্যতম পছন্দে পর্যটনকেন্দ্র মৌসুনি দ্বীপ। দিঘা, পুরী বা দার্জিলিঙের মতোই সম্প্রতিককালে মৌসুনি দ্বীপকেও বেছে নিচ্ছেন পর্যটকরা। বছরের বেশিরভাগ সময়েই মৌসুনি দ্বীপে লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়। এবার সেই মৌসুনি দ্বীপেই ভাঙন। পূর্ণিমার ভরা কোটাল এবং নিম্নচাপের জোড়া ফলায় ভয়াবহ নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে মোসুনি দ্বীপে। প্রায় ৮০০ মিটার নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকা। আতঙ্কিত এলাকাবাসী।একদিকে চিনাই নদী, অন্যদিকে মুড়িগঙ্গা এবং আর একদিকে বঙ্গোপসাগর, কার্যত তিনদিক জল, মাঝখানে ছোট্ট একটি দ্বীপ মৌসুনি। প্রতিবছর বর্ষা এলেই মৌসুনি দ্বীপের বাসিন্দারা আতঙ্কে থাকেন। আর এই আতঙ্কের কারণ হল নদী ভাঙন। চারিদিকে নদী, কিন্তু নেই কোনও স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ। আর স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ না থাকার কারণে প্রতিবছরই বর্ষার সময় কিংবা ভরা কোটালে নদী বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। নদীর নোনা জল প্রবেশ করে বিভিন্ন ট্যুরিস্ট কটেজে ও চাষের জমিতে। ফলে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয় কটেজগুলি, তেমনই নষ্ট হয় জমির ফসল। এই বছরও ঘটনার ব্যতিক্রম নেই। স্থানীয়দের আশঙ্কা অবিলম্বে নদী বাঁধ মেরামত করা না হলে গোটা মৌসুনি দ্বীপই নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে।

এদিকে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবিলম্বে অস্থায়ীভাবে বাঁধ মেরামতির জন্য উদ্যোগী হন। কর্মাধ্যক্ষ জানান, পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে নদীতে জলস্ফীতি দেখা দিয়েছে। তার ফলেই নদী বাঁধ ভেঙে এলাকায় জল প্রবেশ করেছে। তবে দ্রুতই সমস্যার সমাধান করা হবে। যদিও এই অশ্বাসের পরেও যেন আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না এলাকাবাসীর। কারণ পূর্ণিমার ভরা কোটালের জল আরও বাড়লে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তা ভেবেই উঠতে পারছেন না তাঁরা।

স্থানীয়দের মতে, এই নদী ভাঙন রুখতে স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধই একমাত্র সমাধান। গুলজান বিবি নামে এক মহিলা বলেন, ‘এখানে খুব খারাপ অবস্থা। তাই নদী বাঁধটা আমরা স্থায়ীভাবে চাই। নয়তো এখানে আমরা বাঁচতে পারব না। প্রতিবছর এমনটা হয়। আমাদের কোথাও থাকার জায়গা নেই। বাড়ি ছেড়ে কতদিন থাকব? পাকা নদী বাঁধ না হলে মৌসুনি শেষ হয়ে যাবে।’ সেক্ষেত্রে স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ তৈরি করতে প্রশাসন কবে উদ্যোগী হয়, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে মৌসুনি দ্বীপের কয়েকশো পরিবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *