সাগর দত্তের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান জানান, প্রতি মাসে বাড়ি-বাড়ি ভিজি়ট করে পরিবারগুলির স্বাস্থ্য সমীক্ষা করবেন ছাত্রছাত্রীরা। প্রয়োজনে হাসপাতালে এনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। ধাপে ধাপে পরিবারের সংখ্যা বাড়িয়ে ১২০০ করা হবে আগামী দিনে। আপাতত কলেজের সিনিয়র ডাক্তার, টেকনিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট ওষুধপত্র নিয়ে গিয়ে সেখানে বিশেষ স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করবেন।
এনএমসি-র নির্দেশ অনুযায়ী ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রত্যেককে প্রশিক্ষণের প্রথম তিন বছর ৩-৫টি পরিবারের স্বাস্থ্য দেখভালের ব্যবস্থা নিতে হবে। তারই অঙ্গ হিসেবে এই পদক্ষেপ। এর ফলে ওই এলাকার প্রায় ১২০০ পরিবারের অন্তত ৫ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এতে একদিকে যেমন পঠনপাঠনের সময়েই রোগীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে ভাবী ডাক্তারদের, তৈরি হবে সামাজিক বন্ধন–তেমনই আবার প্রান্তিক শ্রেণির বহু মানুষ সঠিক সময়ে চিকিৎসার আওতায় আসবেন। অনেকে জানেনই না হয়তো তাঁর সুগার, প্রেশার, ছানি, টিবি, স্তন ক্যান্সার, যৌনরোগ কিংবা অন্য কোনও অসুখ আছে যা চিকিৎসা করালে সেরে যায়।
অথচ হয় ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময়, সামর্থ্য নেই অথবা সংকোচ রয়েছে। এক জন ডাক্তারি পড়ুয়া যখন ঘরের ছেলেমেয়ের মতো বার বার যাবেন, তখন কিন্তু ওই সংকোচ ও সমস্যাগুলি মিটে যাবে স্বাভাবিক ছন্দেই। ফলে যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসা পাবেন তাঁরা।