এই আবহেই দেশের প্রধান বিচারপতির স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় মঙ্গলবার। তাতে বলা হয়, কলকাতা হাইকোর্টের ৯ জন অতিরিক্ত বিচারপতিকে স্থায়ী করার জন্যে গত এপ্রিলে সুপারিশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের কলেজিয়াম। বিধি অনুযায়ী, সেই সুপারিশের ব্যাপারে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের মত চেয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা কোনও মতামত দেননি। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, তাঁদের আপত্তি নেই।
এমন অবস্থায় নিয়ম মতো সুপ্রিম কোর্টের দু’জন বিচারপতির কমিটি ওই বিচারপতিদের গত দু’বছরের কাজের পর্যালোচনা করেছে। কলকাতা হাইকোর্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহালদেরও মতামত নেওয়া হয়েছে। তার পর সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওই ৯ জন আরও এক বছর অস্থায়ী হিসেবেই কাজ চালাবেন। প্রসঙ্গত, এই ৯ বিচারপতিই জেলা-দায়রা আদালত থেকে ২০২২-এর অগস্টে উন্নীত হয়েছিলেন হাইকোর্টে।
হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত বলেন, ‘হাইকোর্টের কলেজিয়াম তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সবাইকে স্থায়ী করার সুপারিশ করেছিল। আবার সুপ্রিম কোর্ট তাদের পদ্ধতি মেনে সব দিক খতিয়ে দেখে আরও এক বছর তাঁদের একই পদে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক সঙ্গে ন’জনের বিষয় বলে হয়তো আলোচনা হচ্ছে।’
বর্ষীয়ান আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত বলেন, ‘যে প্রশ্নটা মনে উঁকি দিচ্ছে, তা হলো, হাইকোর্টের কলেজিয়ামের উপরে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের কি কোনও আস্থা নেই! প্রশ্ন আসছে, যে সব তথ্য-নথির ভিত্তিতে হাইকোর্ট তাঁদের স্থায়ী করার সুপারিশ করল, সেই একই তথ্য-নথি দেখার পর শীর্ষ আদালত একেবারে বিপরীত সিদ্ধান্ত নিল কী ভাবে!’