এই ঘটনার তদন্তে নেমেই উঠে আসে নীরঞ্জন মণ্ডল এবং মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের নাম। কিন্তু, এখনও তারা অধরা। এবার তাদের হদিশ পেতে পুরস্কার ঘোষণা করা করল এনআইএ। তাদের সন্ধান দিলেই মিলবে এক লাখ টাকা পুরস্কার। গাংপুর গ্রামজুড়ে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রথমে রাজ্যের তরফে এনআইএ তদন্তে আপত্তি তোলা হয় এবং মামলায় জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তেই সায় দেয়। এরপর বাড়ির মালিক বাবলু মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। বাবলুর বাড়ি থেকে কিছু আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
এনআইএ-র চার্জশিটে বাবলুর পাশাপাশি ওই গ্রামের বাসিন্দা তাঁর দুই ছেলে নীরঞ্জন মণ্ডল ও মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়। এনআইএ জানিয়েছে, বাবলু এবং তার দুই ছেলে ষড়যন্ত্র করে সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপদে ফেলার জন্য বেআইনিভাবে অস্ত্র এবং বোমা মজুত করছিল। এনআইএ সূত্রের খবর, বাবলুর সম্মতিতেই ওই বাড়িতে রাখা হয়েছিল বোমা। এর নেপথ্যে কোনও বড় ষড়যন্ত্র ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এবার ঘটনায় মূল দুই নিখোঁজ অভিযুক্তের হদিশ পেতে বড় সিদ্ধান্ত এনআইএ-র।
