দালাল চক্রের বিরুদ্ধে এ দিন মাইক লাগিয়ে প্রতিবাদ করেন গাইঘাটা ব্লক-২ তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন নেতৃত্ব। উৎপাদিত সব্জি যাতে চাষিরা ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারেন, সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের অন্যান্য ব্লকের মতো গাইঘাটার চাঁদপাড়ায় তৈরি হয়েছিল কৃষি মান্ডি। উদ্বোধনের সময় প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল স্থানীয়দের পাশাপাশি বাইরের ব্যবসায়ীরাও এখানে এসে সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে সব্জি কিনবেন।
কিন্তু চাঁদপাড়া কৃষি মান্ডিতে দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে গত কয়েকদিন ধরেই ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন স্থানীয় চাষিরা। এ দিন সেই ক্ষোভেরই বিস্ফোরণ ঘটে। তারক দাস নামে এক চাষি বলেন, ‘সরকারি কৃষি মান্ডিতে এক শ্রেণির দালাল চক্র সক্রিয় হয়েছে। ওরাই সব্জির দাম নির্ধারণ করছে। ফলে আমরা সব্জির ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। অথচ কম দামে সব্জি কিনে বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।’
দীপঙ্কর পাল নামে এক চাষি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এই কৃষি মান্ডিতে বাইরের ব্যবসায়ীরা আসবেন। তাঁরা সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে সব্জি কিনবেন। কিন্তু এখানকার দালাল চক্রের জন্য বাইরের ব্যবসায়ীরা আসতে পারছেন না। এদের জন্যই খুচরো বাজারে সব্জির দাম বাড়ছে।’
চাঁদপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান দীপককুমার দাস বলেন, ‘কৃষি মান্ডিতে দালাল চক্র চলবে না। বিষয়টি নিয়ে বিডিও অফিসে বৈঠকও হয়েছে।’ ব্লকের তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বাপি হাজরা বলেন, ‘কৃষি মান্ডি তৈরি হয়েছে চাষিদের স্বার্থে। কিন্তু এখানে এক শ্রেণির দালাল ভেন্ডার সমিতির নামে রীতিমতো কুপন ছাপিয়ে চাষি এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তুলছে। দালালদের নির্ধারিত দামে সব্জি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। দালাল চক্র বন্ধ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন করব।’
কৃষি মান্ডির ভাণ্ডার সমিতির সম্পাদক পরশ মণ্ডল বলেন, ‘এখানে কোনও দালাল চক্র নেই। ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে।’