শহরের নামী বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলে অতীতে এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা গর্ব করেন স্কুল নিয়ে। মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম হওয়ার নজিরও রয়েছে এই স্কুলের। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছেন এই স্কুলের প্রাক্তনীরা।
এমন ঘটনায় স্কুলের মুখ পুড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুণাভ চক্রবর্তী বলেন, ‘খুব খারাপ লেগেছে এই ঘটনায়। আমি অভিযুক্ত শিক্ষককে ভর্ৎসনা করেছি। গোটা ঘটনা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে লিখিত ও মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রটির পরিবার আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে আমি ৭ দিন সময় চেয়ে নিয়েছি।’
কেন ৭ দিন? প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে আমি পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকব। অভিযুক্ত শিক্ষকের এই আচরণ নিয়ে সেখানে আলোচনা করা হবে।’ প্রহৃত ওই ছাত্রের দিদি বলেন, ‘আমরা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি ৭ দিন সময় চেয়েছেন। আমার ভাইকেও পড়াশোনা করতে হবে। তাই সব দেখে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’
স্কুলে শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক বরাবরই ভালো বলে জানেন শহরের মানুষ। প্রতি বছর এই স্কুলে ভর্তির জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ে। স্কুলের এক শিক্ষকের আবেদন, ‘আমাদের এক সহকর্মীর জন্য স্কুলের নাম যেন খারাপ না হয়। আমাদের আন্তরিকতায় খামতি থাকে না। ছাত্ররা আমাদের কাছে ছেলের মতো। কেউ ভুল করে ফেললে স্কুল খারাপ এমন বার্তা যেন চলে না আসে। আমরাও কষ্ট পেয়েছি এই ঘটনায়।’ এদিনও অভিযুক্ত ইংরেজি শিক্ষক রঞ্জিত মুর্মু কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি।