শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত নীতি আয়োগের বৈঠকে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে একমাত্র যোগদান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, পাঁচ মিনিটের বেশি তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই কারণেই বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ফিরে বলেন, ‘আমার আগে চন্দ্রবাবু নাইডু বলেছেন ২০ মিনিট। অসম, ছত্তিশগড়, অরুণাচল, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীরা কেউ ১৫, ১৬, ১৭ বা ২০ মিনিট বলেছেন। কিন্তু, আমার বক্তব্য যেই ৫ মিনিটে পড়তে যাবে সেই সময় বেল দিতে থাকল।’ তবে ‘অন রেকর্ড’ তিনি ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশনের কথা বলেছেন বলে জানান মমতা।
তাঁর কথায়, ‘আমি একমাত্র বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলাম। ওদের উচিত ছিল আমাকে এক ঘণ্টা বক্তব্য রাখতে দেওয়ার। বক্তব্যের শুরুতে রাজনাথ সিং বলেছিলেন ৫ থেকে ৭ মিনিট সময়। কিন্তু, আমাকে সাত মিনিট সময় দেওয়া হয়নি। আর কিছুটা সময় দিলে বাকি বক্তব্যটাও জানাতে পারতাম। আমি বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলার মাথা নত হতে দিইনি।’
যদিও নির্মলা সীতারামন দাবি করেছিলেন, প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের সামনে টেবিলে সেই সময় দেখানো হচ্ছিল। নির্মলার মন্তব্যে পাল্টা ফুঁসে উঠেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। বারবার বেল দিয়ে বলছে স্টপ ইট। আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি। এটা কি অপমানজনক নয়! এখন মিথ্যে কথা বলছে। নিজেদের ভুলটা বুঝলে এটা করত না।’