West Bengal Government Bill,কেন আটকে রাজ্যের বিল! সুপ্রিম-নোটিস রাজভবন ও কেন্দ্রকে – supreme court issue notice to raj bhavan and central for struck west bengal government bill


এই সময়, নয়াদিল্লি: রাজ্যের আটটি বিলে সম্মতি না-দিয়ে রাজ্যপাল ফেলে রেখেছেন বলে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মামলায় বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে পার্টি করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ শুক্রবার জানিয়েছে, রাজ্যের আবেদন তারা শুনবে।মামলায় পার্টি করার জন্য রাজ্যপাল বোসের সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মারফত কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস ইস্যু করেছে আদালত। গত বছর দুই অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য তামিলনাড়ু ও কেরালাতেও রাজ্য প্রশাসন ও রাজভবনের মধ্যে টানাপড়েনের জেরে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেক্ষেত্রেও অনেকগুলি বিল রাজ্যপালের ফেলে রাখা নিয়ে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার।

রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনাও করেছিল শীর্ষ আদালত। তারও আগে পাঞ্জাব সরকারের করা একই ধরনের একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল— রাজ্যপাল বিল আটকে রেখে বিধানসভাকে এ ভাবে ভেটো দিতে পারেন না। শীর্ষ আদালতের সেই পর্যবেক্ষণও পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের আবেদনে তুলে ধরেছে।

এ দিন শুনানি চলাকালীন বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং জয়দীপ গুপ্ত রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জয়দীপ বলেন, ‘রাজ্যের তরফে এই মামলা সম্পর্কে রাজভবনকে জানানোর পরই রাজ্যপালের অফিসের তরফে বলা হয়, কয়েকটি বিল রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য রিজ়ার্ভ রাখা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে আমাদের কিছু বলা হয়নি।’

সিঙ্ঘভি এর আগে তামিলনাড়ু সরকারের হয়েও সেখানকার রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘এটা একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রে মামলা তালিকাভুক্ত হওয়ার পরই প্রথমে দু’টি বিল ছেড়ে দেন রাজ্যপাল। আবার সুপ্রিম কোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানির আগে বলা হলো, রাষ্ট্রপতির কাছে কোনও একটা বিল পাঠানো হয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না— রাজ্যপালকে কাজ করাতে হলে কেন সুপ্রিম কোর্টকে মামলা তালিকাভুক্ত করতে হচ্ছে।’

কেরালা সরকারের হয়ে অনুরূপ একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছেন আর এক বর্ষীয়ান আইনজীবী কেকে বেণুগোপাল। তাঁর যুক্তি— ‘রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালের বিল পাঠানোর অর্থ রাজ্য সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করা হচ্ছে।’

রাজভবনের তদন্ত রিপোর্টে ‘ক্লিনচিট’ বোসকে

বাংলার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে বিলগুলি আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার, তারমধ্যে বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিল। এর পাশাপাশি পুরসভা সংক্রান্ত বিলও পড়ে রয়েছে। এই আটটি বিলের মধ্যে দু’টি বোসের সময়কার, বাকি আটটি তাঁর পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড়ের সময় থেকে রাজভবনে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের।

যদিও ধনখড়ের সময়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের বিস্তর টানাপড়েন চললেও সুপ্রিম কোর্টে যায়নি রাজ্য। এ বার বোসের বিরুদ্ধে আটঘাট বেঁধেই শীর্ষ আদালতে লড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *