তাঁর কথায়, জেলায় প্রায় ১০ বছর পর ২০২৩ সালের ১ মার্চ প্রধান শিক্ষক নিয়োগের নোটিফিকেশন হয়। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে সারা রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২০১৬ সালের সরকারি নিয়ম (সিনিয়র বিশেষে) মেনেই জেলার ২০০০ শূন্যপদের জন্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্যানেল তৈরি করা হয়। চলতি বছর অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়।
কিন্ত তাতে মহিষাদল ইস্ট এবং এগরা ওয়েস্ট সার্কেল থেকে আদলতে মামলা হয়। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মহিষাদল ইস্ট ও এগরা ওয়েস্ট প্যানেলের স্থগিতাদেশ দেন। অবশেষে সেই জটিলতা কেটেছে আদালতের ঘোষণায়। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং করানোর প্রস্তাব নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, ২০১৬ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কাউন্সেলিংয়ের কোনও নির্দেশিকা ছিল না। সেই নির্দেশের মান্যতা দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের এই রায়ে খুশি এক প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক শম্ভু মাঝি। তিনি জানান, জেলায় স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মামলার কারণে সেই কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। অবশেষে আদালত রায় দিয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত করতে। শিক্ষক নিয়োগের জটিলতার কারনে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া করা যায়নি। যদিও জটিলতা কাটিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয় তার মাঝে আবারও মামলায় তা থমকে যায়। অবশেষে আদালতের রায়ে খুশি জেলার প্রাথমিক শিক্ষকরা।