Packaged Drinking Water : বোতলবন্দি জল খেয়ে পেটের রোগ, হাইকোর্টে মামলা হাওড়ার বাসিন্দার – packaged drinking water problem case lodged at calcutta high court


পুরসভার জলের জায়গায় বোতলবন্দি জল কিনে খাচ্ছেন অনেকেই। বিভিন্ন কোম্পানির বোতলবন্দি জলের চাহিদাও বেড়েছে শহরাঞ্চলে। তবে, সেই বোতলবন্দি জল খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক ব্যক্তি। চিকিসৎকের পরামর্শে বাড়িতে বিশ্রাম নিতেও হয় কিছুদিন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও লাভ না হাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি।হাওড়া জেলার বাসিন্দা গিরিশ ঘোষ ব্যানার্জী লেন এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিতকুমার পান্ডে বোতলবন্দি জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জল খাওয়ার পরেই তিনি লক্ষ্য করেন, তাঁর পেটের গোলমাল শুরু হয়েছে। গিরিশ ঘোষ ব্যানার্জী লেনে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই বোতলবন্দি জল কিনেছিলেন তিনি। সেই জল খেয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে যান বলে দাবি করেছেন।

ওই ব্যক্তির দাবি, যে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি জল কিনেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে ব্যবসা করছেন। নিজেই জল বোতলবন্দি করে বাজারে বিক্রি করছেন। এমনকী, তাঁর কাছে বৈধ ট্রেড লাইসেন্স নেই বলেও দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছেও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে, তাতেও সুরাহা না হওয়ায় এবার তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। কলকাতা হাইকোর্টে তিনি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি গৃহীত হয়েছে। এই সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

মামলাকারী দাবি, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন তুলে ধরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। জল খেয়ে অসুস্থ হওয়ার পর তাঁকে বেশ কিছুদিন বাড়িতে বিশ্রাম নিতে হয়েছিল। ওই এলাকায় আরও অনেকেই জল খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। বোতলবন্দি ওই জলের গুণগত ম্যান অত্যন্ত খারাপ বলেই দাবি করেন ওই ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে তিনি হাওড়া পুরসভা এবং পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলেও জানান।

জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে হাবরায় দুই বুস্টিং স্টেশন
তবে, সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, বিভিন্ন জায়গাতেই এই ধরণের বোতলবন্দি জলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে আসে মাঝেমধ্যেই। নামি কোম্পানির জল ছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন বোতলবন্দি জল বিক্রয়কারী কোম্পানির বিরুদ্ধেই এরকম ধরনের অভিযোগ উঠেছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *