অথচ, প্রশাসন সে ব্যাপারে বিন্দুবিসর্গ কিছু জানে না। এই ধরনের জমির খোঁজে এখন হন্যে হয়ে নেমেছে প্রশাসন। এক সময় সল্টলেক, কসবা, পাটুলি এবং ইএম বাইপাসের দু’পাশে প্রচুর লোককে বসতি গড়ার জন্য সরকারি জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, সে সব জায়গায় বহু সরকারি জমি এখনও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
অনেকে লিজ নেওয়া জমি অন্যকে ভাড়া দিয়ে বসে আছেন। অনেকে আবার পুরসভা থেকে বিল্ডিং প্ল্যানের স্যাংশন নিলেও কোনও ধরনের নির্মাণ শুরু করেননি। তাদের শনাক্ত করে ‘রিজাম্পশন নোটিস’ ধরাচ্ছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। দপ্তরের এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, লিজের শর্ত অনুযায়ী, জমির পজেশন নেওয়ার পর তিন বছরের মধ্যে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করার কথা। না হলে সেই জমি ফেরত নিয়ে নিতে পারে সরকার।
শুধু ইএম বাইপাসের দু’ধারে এরকম কয়েক হাজার একর জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্তমানে ওই সব এলাকায় জমির যা বাজারমূল্য তাতে সব জমি যদি পুনরুদ্ধার করা যায় তাহলে সরকারি কোষাগারে কয়েক হাজার কোটি টাকা জমা হবে। জানা গিয়েছে, সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে সরকারের কাছ থেকে জমি নিয়ে ফেলে রাখায় একটি সংস্থাকে কয়েক দিন আগে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের অধীনস্ত ল্যান্ড অ্যালটমেন্ট সেলের পক্ষ থেকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
প্রায় ১৫ কাঠা আয়তনের ওই জমিতে গ্যাস ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা হওয়ার কথা ছিল। ১৯৮৭ সাল থেকে তারা ওই জমি নিয়ে ফেলে রেখেছে। জমি নিয়ে ফেলে রাখায় কসবা এবং বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলি উপগনগরীতে শতাধিক ব্যক্তিকেও শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে।
