সঙ্কেত-বিভ্রাট! প্যানিক বাটনের কার্যকারিতা দেখতে নয়া কমিটি – west bengal transport department takes initiative to see effectiveness of panic button on public vehicles


সুগত বন্দ্যোপাধ্যায়
যাতায়াতের পথে কোনও সময়ে যাত্রী বা চালক কোনও বিপদে পড়লে যাতে দ্রুত পুলিশ-পরিবহণ দপ্তরের কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করতে পারেন, সেজন্য শহরের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় চালু করা হয়েছিল ভেহিকল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বা ভিএলটিডি। নির্ভয়া-কাণ্ডের পরেই দেশজুড়ে এই পদক্ষেপ করা হয়। গণপরিবহণের তালিকা থেকে বাদ পড়েনি পুলকারও। কিন্তু বছর ঘোরার পরে সেই ভিএলটিডি-র পারফরম্যান্স কেমন?ডিভাইসের বাটন চাপলে কি সত্যিই সঙ্কেত পৌঁছচ্ছে পুলিশ বা পরিবহণ দপ্তরের কাছে। সেই পারফরম্যান্স যাচাই করতে গিয়ে পরিবহণ বিভাগের কর্তারা দেখছেন, কেউ বাটন চাপলে পরিবহণ দপ্তরের কাছে সঙ্কেত যাচ্ছে। কিন্তু পরিবহণ দপ্তর থেকে পুলিশের কাছে পৌঁছচ্ছে না। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এরকম ক্ষেত্রে শুধু প্যানিক বাটন বসিয়ে লাভ কী হচ্ছে?

পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা এজন্য সরাসরি দায়ী করেছেন ভিএলটিডি উৎপাদক বেশ কয়েকটি সংস্থাকে। তাঁদের যুক্তি, কয়েকটি সংস্থার ভিএলটিডি মেশিনের ক্ষেত্রেই এটা ঘটছে। রাজ্যে বিভিন্ন গণপরিবহণে ভিএলটিডি সরবরাহ করে সরকারি তালিকাভুক্ত ৬০টি সংস্থা। এর মধ্যে চারটিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে পরিবহণ দপ্তর। তবে সংশয় তৈরি হয়েছে, এই ত্রুটি কি ওই সংস্থাগুলির বসানো প্যানিক বাটনে, নাকি পরিবহণ দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের সার্ভার ও কন্ট্রোলিং সিগন্যালে কোনও সমস্যা হচ্ছে!

এই ত্রুটি খুঁজতে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছেন। পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক ছাড়াও কমিটিতে কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ কম্পিউটিং’ (সিড্যাক) এবং ভিএলটিডি উৎপাদক সংস্থার প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। পরিবহণ দপ্তরের কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে রয়েছে সিড্যাক। ১৫ দিনের মধ্যেই কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যে কোনও বাণিজ্যিক গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে ভিএলটিডি রয়েছে কি না, সেটা দেখা হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবহণ বিভাগের আধিকারিকরা।

কী ভাবে কাজ করে এই প্যানিক বাটন?
সরকারি-বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, ক্যাবে ভিএলটিডি’র প্যানিক বাটন টিপলেই বিপদ সঙ্কেত পৌঁছয় পরিবহণ দপ্তরের কম্যান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারে। সঙ্গে সেখানকার বড় পর্দায় ওই গাড়ির অবস্থানও দেখা যাবে। পরিবহণ দপ্তর মারফত সেই বার্তা দ্রুত পুলিশের ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স সার্পোট সিস্টেমে’ (ইআরএসএস) পৌঁছনোর কথা। ইআরএসএসে সেই গাড়ির অবস্থান দেখে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পরিবহণ দপ্তরের কন্ট্রোল রুমে বিপদ সঙ্কেত এলেও পুলিশের কাছে পৌঁছচ্ছে না।

পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো গোটা সিস্টেমটাকে ত্রুটি মুক্ত করা। কোথায় ত্রুটি মেশিনে না কন্ট্রোল রুমের সফটওয়্যারে, তা খুঁজে বের করা। কন্ট্রোল রুমের সফটওয়্যার কেন্দ্রীয় সংস্থা সিড্যাক তৈরি করেছে। তাদেরও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *