Jadavpur University : বছর ঘুরলেও ‘বিচার’ মেলেনি, অপেক্ষায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত পড়ুয়ার মা-বাবা – jadavpur university student allegedly expired for ragging parents want justice


সেই বিভীষিকাময় রাত ভোলা যায়নি আজও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল গোটা রাজ্যে। ক্যাম্পাসে মৃত্যু হয় এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার। উঠেছিল র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ। আদতে, মৃত্যু হয়েছিল এক স্বপ্নের। তবে, প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও দোষীরা আজও শাস্তি পেল না, আক্ষেপ পড়ুয়ার মা-বাবার।২০২৩ সালের ৯ই অগাস্ট কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের। আজ সোমবার তিথি মতে, তাঁর বাৎসরিক কাজ সম্পন্ন করেন পরিবারের লোকজন। সেই নক্কারজনক ঘটনার প্রায় এক বছর পরও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার মৃত্যুর তদন্তে দোষীদের এখনও সাজা না হওয়ায় কার্যত হতাশ তাঁর বাবা-মা।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৯ই অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় সেই পড়ুয়ার। অভিযোগ ওঠে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন ওই ছাত্র। সেই ঘটনার পর অভিযুক্তরা গ্রেফতার হলেও প্রায় এক বছর কেটে গেলেও এখনও সাজা পাননি তাঁরা। সেই পড়ুয়ার মা এবং বাবা আইনের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখে দোষীদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করলেন। তাঁরা অপেক্ষায় রয়েছেন বিচারের।

পড়ুয়ার মা বলেন, ‘পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল। আমাকে বলেছিল, মা যদি যাদবপুরে সুযোগ পাই, সেখানে ভর্তি হব। আমার নিষ্পাপ ছেলেটার সঙ্গে র‍্যাগিং করল। আমি মা বলেছি, ছেলের কোনও দোষ নেই। এত ভালো ছেলেকে ওরা মেরে ফেলে দিল।’ বলতে বলতেই কান্নায় গলা বুজে এল মায়ের। কিছুদিন আগেই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে,ফৌজদারি মামলা প্রায় গুটিয়ে আনা হয়েছে। এই মুহূর্তে অভিযুক্তদের সাজা নিশ্চিত করাই পুলিশের প্রায়োরিটি বলে জানানো হয়।

ক্যাম্পাসে ‘ছেলে ধরতে’ সক্রিয় র‍্যাগাররা, প্রশ্নের মুখে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ
র‍্যাগিং ঠেকাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ইতিমধ্যে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে বেশির ভাগ পড়ুয়ার হস্টেল অ্যালট করা হবে স্পট বুকিংয়ের মাধ্যমে। হস্টেলে আর কোনও ‘গেস্ট’ না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হস্টেল সুপারের বিশেষ অনুমতি ছাড়া গেস্ট রাখা হচ্ছে না। প্রথম বর্ষের হস্টেলে সিনিয়র পড়ুয়াদের ‘নো এন্ট্রি’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে, যে প্রাণটি চলে সেটি আর ফিরে আসার নয়। তাঁর মৃত্যুর জন্য যে বা যারা দায়ী ছিল, তাদের শাস্তি কবে হবে? সেই দিকেই তাকিয়ে আছে মৃত পড়ুয়ার পরিবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *