Anandadhara Project : আনন্দধারা প্রকল্পের নাম নিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা, পুলিশের জালে বড় চক্র – fraud allegation using anandadhara project name bidhannagar police arrested ten persons


গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র দূরীকরণে তৈরি হয় আনন্দধারা প্রকল্প। প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠনের মাধ্যমে গ্রামীণ পরিবারগুলিকে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য করা হয়। সেই প্রকল্পের নাম নিয়ে এবার কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ। ভুয়ো টেন্ডার করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। প্রতারণার দায়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ।সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি সরকারি দপ্তরে স্কুলের জন্য জামা, জুতো, ব্যাগ প্রভৃতি সরবরাহ করতে পারবে। এমনই ভুয়ো আশ্বাস দেওয়া হয় বিভিন্ন কোম্পানিকে। সরকারের সেই কাজের জন্য টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন সংস্থাকে। ভুয়ো টেন্ডার ও নকল কাগজপত্র দেখিয়ে প্রতারকরা তাদের থেকে হাতিয়ে নিতেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এ নিয়ে বছরখানেক আগে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।

চলতি বছরের জুন মাসে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই ঘটনার তদন্ত নামে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। তদন্ত চালিয়ে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তরা শুধু এ রাজ্যে নয়, ভিন রাজ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। এই চক্রে আর কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছে এই সংক্রান্ত অভিযান হয়েছিল ডানকুনির একটি গোডাউনে। সেখান থেকে সরকারি লোগো দেওয়া ব্যাগ, জামা, মোজা প্রভৃতি পাওয়া গিয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার বি. বরুণ চন্দ্র শেখর মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা, সে ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নামী কোম্পানির জল কিনলেই ফ্রিজ ফ্রি! প্রতারণার ফাঁদে টাকা খোয়ালেন বর্ধমানের ব্যবসায়ী
বিধাননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, সরকারি এই প্রকল্পে জামা, ব্যাগ তৈরি করানো হয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে। এই প্রকল্পের কাজের জন্য কোনও তৃতীয় পক্ষকে কাজের টেন্ডার দেওয়া হয় না। বেশ কোম্পানিকে ভুয়ো টেন্ডার, কাগজপত্র দিয়ে এই কাজ করিয়ে নিতো ওই প্রতারণা সংস্থা। একাধিক জায়গা থেকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ছিল পুলিশের কাছে। এরপরেই এই প্রতারণা চক্রটির নাগাল পায় পুলিশ। দিল্লি, আসাম, হরিয়ানা সহ একাধিক রাজ্যের ফার্মের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *