কেষ্টর জামিনের খবর শুনে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না শ্যালক আনন্দ গোপাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘যেদিন ওঁরা (অনুব্রত মণ্ডল ও সুকন্যা মণ্ডল) জেল থেকে ছাড়া পাবে, সেদিন আর কেউ যাক না যাক আমি সবার আগে যাব মালা নিয়ে। অনুব্রতর জন্য তো মন কাঁদছেই, তার থেকেও বেশি মন কাঁদছে ভাগ্নি রুবাই ( সুকন্যা মণ্ডল)-এর জন্য। আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, ওঁরা যেন তাড়াতাড়ি ছাড়া পেয়ে যায়।’
তবে, এর মাঝেই বেশ খানিকটা অভিমান ঝরে পড়েছে তাঁর গলায়। তাঁর কথায়, ‘যাঁরা কেষ্ট মণ্ডলের জন্য বড় হল, যাঁরা ওর দৌলতে প্রচুর সম্পত্তি করল, আজকে ওর বিপদের দিনে তারা কেউ পাশে নেই। তারা সবাই দূরে চলে গিয়েছে। এখন শুধু তাদের ভয় যদি ওদের ইডি-সিবিআই ধরে। কিন্তু এখন আমি তা বলব না।’ অনুব্রত ও তাঁর কন্যা শীঘ্রই জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরুক, সেটাই চাইছেন তিনি।
জামিনের খবর আসতেই বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, আমরা অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন সভা-সমিতিতে বলে আসছিলাম বীরভূমের অভিভাবক অনুব্রত মণ্ডলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই ইডি মামলায় তিনি জামিন পেয়ে যাবেন বলেও আমরা বিশ্বাস করি। আমরা আশা করছি, উনি কিছুদিনের মধ্যেই জেলায় ফিরে আসবেন।’ বীরভূম জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আজকে আমরা আনন্দিত গোরু চুরি মামলায় তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে।’