Rachna Banerjee,’রোগীর সঙ্গে অনেক লোক ঢুকে যাচ্ছে’, পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ রচনা – rachana banerjee hooghly tmc mp visits pandua rural hospital


আবারও হাসপাতাল পরিদর্শন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপ্যায়ের। চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের পর এবার পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল ঘুরে দেখলের হগলির তৃণমূল সাংসদ। হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ বিভিন্ন বিষয়গুলি খতিয়ে দেখলেন তিনি। একইসঙ্গে ওই হাসপাতাল কর্মীদের দিলেন বেশকিছু পরামর্শ। পাশাপাশি আবারও ওই হাসপাতালে আসবেন বলেও জানান তিনি।বৃহস্পতিবার পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে যান হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন পাণ্ডুয়ার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। হাসপাতাল ঘুরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসক মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়কে বলেন, ‘এত বড় হাসপাতালে অপরিষ্কার রয়েছে। এখানে মানুষ আসে চিকিৎসার জন্য, অসুস্থ হওয়ার জন্য নয়। সাধারণ মানুষ হিসেবে আপনাকে বলছি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা দরকার। দিদির (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে কথা বলে কতটা কী উন্নয়ন করা যায় তার চেষ্টা করব, তবে এখন যেভাবে চলছে সেটা চলতে পারে না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে, বাইরে সিকিউরিটি রাখতে হবে।’

একজন রোগীর সঙ্গে ১০-১২ করে বাড়ির লোকের প্রবেশ করার যে ‘অলিখিত প্রথা’ শুরু হয়েছে হাসপাতালে, তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা গেল সাংসদকে। তিনি বলেন, ‘একজন রোগীর জন্য ১০ জন লোক ঢুকতে পারে না। কলকাতাতে এমন অনুমতি দেওয়া হয় না। ছোট হাসপাতাল, সেখানে একজনের সঙ্গে অনেকে ঢুকে পড়লে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। সবাই জুতো পরেই ঢুকছে, ফলে নোংরা হচ্ছে। তাই কার্ড ইস্যু করা দরকার, যাতে একজন রোগীর সঙ্গে ১ থেকে ২ জন ঢুকতে পারেন।’

এদিন হাসপাতালের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপরে বিশেষ জোর দিতে দেখা যায় রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলে, ‘যেটুকু পরিকাঠামো আছে, সেটা যেন ঠিকমতো থাকে। আমার তরফ থেকে যতটা চেষ্টা করার করব। হাসপাতালের বাইরে জল জমে রয়েছে। এমনভাবে ঢাল তৈরি করতে হবে, যাতে জলটা বাইরে যেতে পারে, আর রোগীরা আসতে পারন। এখন তো রোগীদের কোলে করে আনতে হচ্ছে।’ এরপরেই রচনা বলেন, ‘ডাস্টবিনগুলি পরিষ্কার করতে হবে। এখানে সাফাই কর্মীর বড় অভাব। এই ধরনের হাসপাতালে কমপক্ষে ১০ জন সাফাই কর্মী থাকা উচিত। সাফাইকর্মী নিয়োগ করতে হবে।’ একইসঙ্গে হাসপাতালে আরও চিকিৎসক থাকা উচিৎ বলেও কার্যত বলতে শোনা যায় তাঁকে। একমাস পরে এই হাসপাতালে তিনি আবার আসবেন বলেও জানান রচনা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *