বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য স্পষ্ট বলেছেন, এই মুহূর্তে বিজেপিতে যোগদান ছাড়া অধীরের কাছে অন্য কোনও রাস্তা নেই। শমীকের কথায়, ‘কংগ্রেস অধীরবাবুর সঙ্গে প্রতারণা করেছে৷ তিনি ভালো খেলোয়াড়, কিন্তু ভুল দলে আছেন৷ কংগ্রেসে থেকে তৃণমূলের বিরোধিতা করা যাবে না, এটা বুঝতে পারছেন না তিনি৷ অধীরবাবু যদি মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে বিসর্জন দিতে হবে, তাহলে বিজেপিকে সমর্থন করা ছাড়া অন্য পথ খোলা নেই ওঁর৷’
আবার লোকসভায় বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ মনে করেন, অধীরের উচিত আলাদা দল গঠন করা। তাঁর বক্তব্য, ‘অধীরদার সঙ্গে কাজ করে যা বুঝেছি, তাতে উনি হয়তো কংগ্রেস ছাড়বেন না৷ মুর্শিদাবাদ ও মালদায় ওঁর যা প্রভাব, তাতে আলাদা দল গঠন করলে তিনি ভালো জায়গায় যেতে পারবেন৷ নিজের মতো করে সবকিছু সাজাতে পারবেন, ঝুঁকি নিতে পারবেন৷ ১৯৯৬ সাল থেকে অধীরদা মমতা-বিরোধী হিসেবে পরিচিত৷ তৃণমূল কংগ্রেসে তিনি যাবেন না৷’
আবার তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, অধীরের আজকের পরিস্থিতির জন্য তিনি নিজেই দায়ী। তাঁর কথায়, ‘আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব মতো অধীর যদি তৃণমূলের দেওয়া আসনগুলি নিতেন, তা হলে তিনি আজ সাংসদই থাকতেন। মালদাও তাঁরই হাতে থাকত৷ হয়তো আরও কয়েকটি আসন জুড়ে যেত তাঁর দলে৷ বিজেপি সেক্ষেত্রে নেমে যেত ৬-৭টি আসনে৷ অধীরের বাধার জন্যই তা করা সম্ভব হয়নি, এটা দেখেছি আমরা৷’
তাঁর সংযোজন, ‘অধীর দল ছাড়লে, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোটের রাস্তা আরও প্রশস্ত হবে৷ বাংলার প্রয়োজনে কোথাও কোথাও ভিন্ন অবস্থান আমাদের নিতেই হয়৷ তবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতীয় স্তরে আমরা ইন্ডিয়া জোটেই আছি৷’