চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার একাধিক ঘটনা ঘটে চলেছে জেলায় জেলায়। কখনও ঝাঁ চকচকে অফিস বানিয়ে এই ধরনের প্রতারণা করা হচ্ছে। কখনও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ উপার্জনের রাস্তা বের করছে প্রতারকরা। এবার চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে। প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আজ, শনিবার কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে।
জানা গিয়েছে, গত ৩১ জুলাই কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দীপঙ্কর হালদার নামে এক টোটো চালক। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতর নাম তারক দে। সে সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার নাম করে ১১ হাজার ৩৭০ টাকা নেয় বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, গত ৩১ জুলাই কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দীপঙ্কর হালদার নামে এক টোটো চালক। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতর নাম তারক দে। সে সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি দেওয়ার নাম করে ১১ হাজার ৩৭০ টাকা নেয় বলে অভিযোগ।
দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও চাকরি না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে টাকা ফেরত না দেওয়ার কথা জানায় অভিযুক্ত। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে থানার দ্বারস্থ হয় প্রতারিত টোটো চালক। কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানানোর পরেই বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে।
উল্লেখ্য, কোনও জায়গায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, পুজো, উৎসবের সময় ভিড় সামলাতে, বেআইনি পার্কিং রুখতে এবং মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশকে সাহায্য করার কাজ করেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। তবে এর মধ্যেই আর্থিক প্রতারণার কাজে এক সিভিক ভলান্টিয়ার যুক্ত থাকায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজন। কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানিয়েছে, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।