নামখানা নারায়ণপুর এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্যই এক পশলা বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান জল জমে যাচ্ছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। দ্রুত সমস্যা সমাধান না করা হলে আন্দোলনের নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
অন্যদিকে, প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে ভাঙন দেখা দিয়েছে মৌসুনি দ্বীপের সল্টঘেরি এলাকাতেও। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন এবং সেচ দপ্তরের কর্মীরা সুন্দরবনের উপকূল এলাকার বেহাল নদী এবং সমুদ্র বাঁধের উপর নজর রেখেছেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও শুক্রবারও আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। রাত থেকে ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো বাতাস বয় উপকূল এলাকায়।
সমুদ্র উত্তাল থাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পেয়ে অধিকাংশ ট্রলার ঘাটে ফিরে এসেছে৷ বহু ট্রলার খারাপ আবহাওয়ায় ফিরতে না পেরে মাঝ সমুদ্রে বিভিন্ন দ্বীপে নোঙর করে রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরবনের একাধিক ফেরি সার্ভিসও বন্ধ রাখা হয়।
কাকদ্বীপ মহকুমার সেচ দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ‘ঘূর্ণাবর্তের জেরে প্রবল বৃষ্টি চলায় নদী এবং সমুদ্রের বাঁধের মাটি একেবারে নরম হয়ে গিয়েছে। বেহাল বাঁধের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। পঞ্চায়েতের পাশাপাশি ব্লক প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’