এদিকে একাধিক সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যখন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় তখন নার্সিং জয়েন্ট এন্ট্রান্সে এই ঘটনায় বড়সড় দুর্নীতির আশঙ্কা করছেন কলেজের প্রিন্সিপাল। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৬০০ জনের পরীক্ষার সিট পড়েছিল ওই কলেজে। এর মধ্যে ৪৮৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, ৪৮৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে নয়জনের কাছ থেকে মোবাইল পাওয়া যায়। প্রশ্নপত্র নিয়ে মোবাইলে এই পরীক্ষার্থীরা এসএমএস আদান-প্রদান করছিল বলেও জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের প্রিন্সিপাল চন্দন রায় বলেন, ‘পরীক্ষার মধ্যে কোনও অস্বচ্ছতা দেখা গেলে আমাদের পক্ষে যথাসম্ভব কঠোর ভাবে সেটা মোকাবিলা করব। অপরাধের উপর টার্গেট, অপরাধীর উপর নয়।’
উল্লেখ্য, একই ঘটনা লক্ষ্য করা যায় বীরভূম জেলাতেও। ANM ও GNM নার্সিং এন্ট্রাসের পরীক্ষায় পোশাকের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ১০ টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয় বীরভূমের সিউড়ির বেণীমাধব স্কুলে। ১০ জন ছাত্রীকে ধরা হয়। এই ছাত্রীরা সকলেই মালদার পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রথম চেকিং এ এই ছাত্রীরা ধরা না পড়লেও, পরীক্ষা শুরুর আগে হলে ফের চেকিং হয় ছাত্রীদের। তখনই লুকিয়ে রাখা মোবাইল গুলি উদ্ধার হয়। এছাড়াও এক ছাত্রী মোবাইল নিজের চটি কেটে তার ভেতরে ভরে রাখার অভিযোগও তুলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।