Mousuni Island,কোটালে লন্ডভন্ড অবস্থা মৌসুনি দ্বীপের, সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি – mousuni island deeply damaged for heavy raining at south 24 parganas


অল্পদিনেই পর্যটকদের কাছে পছন্দের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছিল মৌসুনি দ্বীপ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই পর্যটন কেন্দ্রের তছনছ অবস্থা গত কয়েকদিনে। বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কটেজ মালিকরা। আগামী দিনে কোটালের কারণে জলস্তর বাড়লে আরও বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।পূর্ণিমার কোটালে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ল নামখানার মৌসুনি দ্বীপের পর্যটন কেন্দ্র। এই পর্যটন কেন্দ্রে গড়ে ওঠা প্রতিটি কটেজই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবারও নতুন করে সাজিয়ে তুলতে দীর্ঘদিন সময় লাগবে বলে, কটেজ মালিকদের দাবি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে মৌসুনি দ্বীপে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এই নতুন পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে উঠেছিল। ধীরে ধীরে এই পর্যটন কেন্দ্রটি ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

বর্তমান বকখালির পাশাপাশি প্রতিদিনই প্রচুর পর্যটক এই পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসেন। এখন এই পর্যটন কেন্দ্রে ৬২টি কটেজ রয়েছে। পূর্ণিমার কোটালে বেশির ভাগই কটেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাইরে বসার জায়গা সহ সমুদ্রে নামার ঘাট গুলি সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। এক কটেজ মালিক অভিষেক রায় বলেন, ‘পূর্ণিমার কোটালে কটেজ গুলির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। আগামী দিনে আরও প্রায় চারটি বড় কোটাল রয়েছে। নদীর বাঁধ এখনই যদি না মেরামত করা হয়, তাহলে আগামী দিনে শুধু পর্যটন কেন্দ্র নয় পুরো দ্বীপটি ক্ষতির মুখে পড়বে।’ অতীতেও প্রতিটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং বড় বড় কোটালের সময় এই পর্যটন কেন্দ্রটি ক্ষতির মুখে পড়েছিল। বারবার নতুন করে সাজিয়ে তুলতে হচ্ছে বলে দাবি কটেজ মালিকদের।

Mousuni Island : নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে মৌসুনি দ্বীপ!

অন্যদিকে, মৌসুনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল কাইউম খান বলেন, ‘এই এলাকায় নদীর গতিপ্রকৃতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয়। পূর্ণিমার কোটালে পর্যটন কেন্দ্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে যতটা কাজ করা সম্ভব, তা করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়টি সেচ দপ্তরকে জানানো হয়েছে।’

Storm In Hooghly : ‘দু’মিনিটে কী যে হলো!’ ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কের রেশ কাটেনি, গ্রামবাসীদের সাহায্য প্রশাসনের
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৌসুনী দ্বীপের এক দিকে রয়েছে চিনাই নদী, এক দিকে রয়েছে মুড়িগঙ্গা নদী এবং আর এক দিকে বঙ্গোপসাগর। দ্বীপ এলাকায় নদীর সংখ্যা বরাবরই বেশি। আগামী দিনে স্থায়ী সমাধান না হলে এই পর্যটন কেন্দ্র আরও বড় বিপদের মধ্যে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *