শনিবার সন্ধায় হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে দামোদর নদ সংলগ্ন তারকেশ্বর ও ধনেখালি ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামে। আকাশের মেঘ থেকে কালো হয়ে গোল করে ঘুরতে ঘুরতে নিচে নেমে আসে ঘূর্ণিঝড়। স্থানীয়দের ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়েছে। কয়েক মিনিটের ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় তারকেশ্বরের সন্তোষপুর ও ধনিয়াখালির গোপিনগর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত জিয়ারা ও হবিবপুর গ্রাম। এর মধ্যে নিশ্চিন্তপুর গ্রামে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঝড়ের প্রভাবে।
আজ সকালে গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের প্রচুর বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। মাটির দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। উপরে গিয়েছে একাধিক ইলেকট্রিকের পোস্ট, উপড়ে পড়েছে গাছ। পরনের জামা কাপড়, রান্নার জিনিসপত্র, বিছানা, চাদর উড়ে গিয়ে পড়েছে অন্যত্র। এলাকায় মিনি টর্নেডোর দাপটে লন্ডভন্ড হয়ে যায় কয়েকটি গ্রাম। ক্ষতি হয়েছে ধনেখালির নিশ্চিন্দপুর, হবিবপুর গ্রামে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক মহিলা বলেন,’হঠাৎ করেই ঝড়টা এল। দু’মিনিটের মধ্যে কী যে হল ! আমাদের বাড়ির চাল উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। অনেকটাই অসুবিধার মধ্যে রয়েছি।’
এদিন এলাকা পরিদর্শন করেন বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়, ধনেখালির বিডিও রাজর্ষি চক্রবর্তী, হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি। পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ। কী অসুবিধা মধ্যে গ্রামবাসীরা আছেন তা নিয়ে সাহায্যের কথাবার্তা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক করতে কাজ শুরু করেছে বিদ্যুৎ দপ্তর। প্রশাসনের তরফে দেওয়া হয়েছে ত্রিপল ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তারকেশ্বরের বিধায়ক জানান, গতকাল হাতির শুঁড়ের মতো একটি পাক খাওয়া ঘূর্ণিঝড় অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে। কেউ হতাহত না হলেও বাড়ি ঘরের অনেক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় জেনারেটর চালিয়ে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। ধ্বংসের ছবি তুলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। হুগলী গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি বলেন, ‘পঞ্চায়েত, ব্লক, পুলিশ প্রশাসন গ্রামবাসীদের পাশে আছে। অনেকেই গৃহহীন হয়েছেন। সবার জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’