কিন্ত হঠাৎই এমন পরিকল্পনা কেন? উত্তরে আত্রেয়র বলেন, ‘প্রতিবছর ক্যালেন্ডার তৈরির জন্য প্রায়ই ১ বিলিয়ন কাগজ ভারতে ব্যবহার হয়। বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করার পাশাপাশি কাগজ তৈরির অন্যতম উপাদান হল কাঠ। তাই প্রতিবছর কাগজ তৈরির জন্য লক্ষ লক্ষ গাছও কেটে ফেলা হয়। কিন্তু এই ইনফিনিটি ক্যালেন্ডার বাজারে এলে গাছ কাটার পরিমাণ অনেকটাই কমবে। পরিবেশের ভরসাম্যও রক্ষা পাবে।’
আত্রেয় আরও বলেন, ‘মোট ১৪ ধরনের ক্যালেন্ডার ব্যবহার হয়, যার মধ্যে ৭টি থাকে লিপ ইয়ারের জন্য, আর সাতটি নন লিপ ইয়ারের জন্য। বছরের পর বছর কীভাবে সেই ১৪টি ক্যালেন্ডারের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, প্রথমে সেটাকে আয়ত্তে আনি। তারপর বেশ কিছু গবেষণা এবং অংক কষে অবশেষে তৈরি হয় ছোট্ট এই ইনফিনিটি ক্যালেন্ডার। তারপর এই ক্যালেন্ডারটিকে পেটেন্ট করতে সাহায্য করেন আমার কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং এইচওডি কল্পনা শর্মা। তাই এটির আবিষ্কর্তা হিসেবে আমার পাশাপাশি নাম রয়েছে কল্পনা শর্মারও।’
এছাড়াও এই কাজে আত্রেয়কে সম্পূর্ণভাবে সাহায্য ও সেটির রূপদান করেছেন তাঁর দাদা অরিত্র ঘোষাল। আপাতত এই ক্যালেন্ডার কার্ডবোর্ড কেটে তৈরি করা হয়েছে। তবে পরবর্তীকালে আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্লাস্টিক বা অন্য কোনও উপাদান দিয়ে এটি তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে আত্রেয়র।
এদিকে ছেলের এই কৃতিত্বে খুশি মা শ্যামলী ঘোষালও। তিনি বলেন, ‘ছোট থেকেই ছেলের অংকের প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ। এই ধরনের খেয়াল যে এই প্রথম তা নয়, ছোট থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন জিনিস নিয়ে ওর গবেষণা চলেই এসেছে। তবে এই প্রথম ওর কাজ স্বীকৃতি পাওয়ায় আমি খুব খুশি। আশা করি আগামী দিনে ও আরও নতুন কিছু আবিষ্কার করবে।’