পশ্চিমবঙ্গে গোড়া থেকেই আয়ুষ্মান ভারত চালু হয়নি। ফলে অধিকাংশ বঙ্গবাসীর কাছেই আভা আইডি কার্ড কিংবা নম্বর নেই। সেই বিষয়টি নিয়েই আপত্তি জানান ভানিকর। তিনি বলেন, ‘আয়ুষ্মান ভারত কার্ড ছাড়া চিকিৎসা করানো হলে তা কোনও ভাবেই গ্রাহ্য করবে না কেন্দ্রীয় সরকার।’
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তাদের ব্যাখ্যা, এতে মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদনও বিপাকে পড়তে পারে। কেন না, রোগী ভর্তির হিসেব বছরের শেষে না মিললে এনএমসি-র মূল্যায়নে সমস্যা তৈরি হবে। আটকে যেতে পারে কেন্দ্রীয় অনুদানও। কল্যাণী এইমসের এই অনুষ্ঠানে এনএমসি কর্তাদের পাশাপাশি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও শুধুমাত্র উপস্থিত ছিলেন এসএসকেএমের অধিকর্তা এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ।
এনএমসি-র হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে পরে রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক বলেন, ‘অধ্যক্ষদের থেকে রির্পোট পাওয়ার পরেই স্বাস্থ্যভবন তার অবস্থান স্পষ্ট করবে।’ এইমসের এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে দেখা গিয়েছে বিতর্কিত কার্তিক মহারাজকেও। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে তিনি চিকিৎসদের সরকারি আলোচনাসভায় কী ভাবে হাজির থাকছেন, তা নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয় অনুষ্ঠানে।
তবে এ দিনের অনুষ্ঠানে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন এনএমসি-র কর্তরা। এনএমসি-র এথিক্স অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন বোর্ডের সদস্য বিজয়লক্ষ্মী নাগের অভিযোগ, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল সঠিক তথ্য দেয়না। এথিক্স ফাইল চেয়ে পাঠালে, তাও দেয় না। ফলে কাজে সমস্যা হয়।