তারই অঙ্গ হিসেবে গুলি চালানোর ছক কষে সে। যা বাস্তবায়িত করেছিল রোশন। অবশ্য গুলি চালানোর জন্য শার্প শুটার হিসেবে উত্তমকুমারকে বেছে নিয়েছিল সুবোধ নিজেই। কারণ সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে আসা উত্তম দু’হাতে গুলি চালানোয় পারদর্শী। তাই অজয় মণ্ডলকে ভয় দেখাতে উত্তমই ছিল সুবোধের প্রথম পছন্দ।
শার্প শুটার উত্তম আদতে ঝাড়খণ্ডের ডালটনগঞ্জের বাসিন্দা। দীর্ঘ তল্লাশির পরে জব্বলপুর থেকে তাকে ধরা হয়। উত্তমকুমারকে ধরে বেলঘরিয়া গুলি-কাণ্ডে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল আট। উল্লেখ্য, ১৫ জুন ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলে। তদন্তে উঠে এসেছে তার দিন কুড়ি আগে এই ঘটনায় জড়িত সকলেই হাওড়ার বালির হপ্তাবাজার গলিতে একটি বাড়ি ভাড়ায় নিয়েছিল।
দুষ্কৃতীদের রান্নাবান্নার জন্য ডালটনগঞ্জের বিড়লা বলে এক যুবক এসেছিল। এখানকার অপারেশন শেষ করে ফিরে যাওয়ার পরে সেই বিড়লা অন্য একটি ক্রিমিনাল গ্যাংয়ের হাতে খুন হয়। তদন্তে আরও চার জনের যোগ পেয়েছে পুলিশ। এদের একজন ঋষুকুমার পাণ্ডে। যার মোটরবাইকে চেপে সেদিন উত্তম ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল।
সেই ঋষু ডালটনগঞ্জে অস্ত্র সমেত ধরা পড়ে এখন সেখানকার জেলে বন্দি। বাকি তিন জনের নাম বিবেক, পঙ্কজ ও শশিভূষণ। উত্তম-ঋষুর মোটরবাইকের পিছনে আর একটি বাইকে ছিল বিবেক ও পঙ্কজ। তাদের কাজ ছিল উত্তমদের অনুসরণ করা। বালিতে বাড়িভাড়া এবং এলাকা চিনিয়ে দেওয়া ও রেইকির দায়িত্ব ছিল শশিভূষণের।
২৮ জুন ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে একটি সোনার দোকানে দেড় কোটি টাকা ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে বিবেক, পঙ্কজ ও শশিভূষণ রাঁচির জেলে বন্দি। চার জনকে দ্রুত প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট নিয়ে ব্যারাকপুরে আনা হবে বলে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আগেই ধৃত আলতাব রাজা এবং সাহিলকুমার সিং বিহার থেকে দু’টি বাইক, সেভেন এমএম পিস্তল ও কার্তুজ নিয়ে এসেছিল।