Gta Chief Anit Thapa,আলোচনা না করেই সরকারি জমি উদ্ধার, ক্ষুব্ধ জিটিএ প্রধান – gta chief anit thapa angry over two district commissioner to recover government land


এই সময়, শিলিগুড়ি: সরকারি জমি উদ্ধারে দুই জেলাশাসকের তৎপরতায় ‘ক্ষুব্ধ’ জিটিএ চিফ তথা ভারতীয় প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতা অনীত থাপা। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের জেলাশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। এবং পাহাড়ে কোনও রকমের অশান্তি হলে দুই জেলাশাসকই দায়ী থাকবেন।মোর্চা সূত্রে জানা গিয়েছে, অনীত থাপার দুই জেলাশাসকের বিরুদ্ধে এমন ক্ষোভের কারণ, সম্প্রতি পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসন জবরদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধারে নেমেছে। শিলিগুড়ির কাছে পানিঘাটায় সম্প্রতি দার্জিলিং জেলা প্রশাসন কয়েক বিঘা সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়।

একই ঘটনা ঘটেছে কালিম্পং জেলার পনবুতে ইয়াংমাকুং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানেও প্রদীপ ভূজেল নামে এক ব্যক্তি সরকারি জমি দখল করে বাড়ি তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে আদালতে দায়ের করা মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সম্প্রতি হাইকোর্টের রায় কালিম্পং জেলা প্রশাসনের পক্ষে যায়। তার পরেই প্রদীপ ভূজেলের বাড়ির একাংশ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

দুই জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর পরিবর্তে সরাসরি অনীত থাপার এমন বিবৃতিতে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি পাহাড়ে রাজনীতির সমীকরণ বদলে যাচ্ছে! এমন জল্পনার কারণ, ২০১২ সালে বিমল গুরুং জিটিএ চিফ হওয়ার পরেই দার্জিলিংয়ের তৎকালীন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তার পরেই তৃণমূলের সঙ্গে বিমল গুরুংদের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দূরত্ব বাড়তে শুরু করে।

তবে এ ব্যাপারে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল কিংবা কালিম্পংয়ের জেলাশাসক সুব্রহ্মণীয় টি কোনও মন্তব্য করেননি। জানা গিয়েছে, প্রায় ২৩ বছর পরে পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর তৈরির জন্য জমির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তার ব্যবস্থা করতেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি জমি থেকে জবর দখলকারীদের হটানোর কাজ শুরু হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *