স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজকার মতো এ দিন দুপুরে বড়নীলপুরের রাখাল পীরতলা বাস স্টপেজে দুই ছাত্রের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাদের মায়েরা। স্কুলবাস থেকে নেমে ওই দুই ছাত্র মায়েদের হাত থেকে মোবাইল ফোন ও বাড়ির চাবি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি বলে এগিয়ে যায়। কিন্তু দুই মা বাড়িতে গিয়ে দেখেন, ছেলেরা বাড়িতে ফেরেনি। এর পরেই তাঁরা প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান। সকলে মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেও কোনও সন্ধান মেলেনি।
খবর দেওয়া হয় বর্ধমান থানায়। এলাকায় এসে বিভিন্ন সংস্থা ও দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। কিছু ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুই ছাত্র একেবারে স্বাভাবিক ভাবে নিজেরা কথা বলতে বলতে বীরহাটার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মুচিপাড়া সংলগ্ন এলাকার একটি ফুটেজে দেখা যায়, এক ছাত্র তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের সঙ্গে আর একটি জিনিস ছুড়ে ফেলছে।
পুলিশ পরে ওই এলাকা থেকে ভাঙা মোবাইল ফোনটি উদ্ধারও করে। অন্য ফোনটি সুইচ্ড অফ রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পারে। তবে সেই মোবাইলের শেষ টাওয়ার লোকেশন ছিল বর্ধমান স্টেশন। সেই মতো স্টেশনে গিয়ে সিসি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। দেখা যায়, বর্ধমান স্টেশন থেকে এ দিন ওই দু’জন হাওড়াগামী ট্রেনে চাপে।
হাওড়া জিআরপি-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ স্টেশন চত্বর থেকে দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বড়নীলপুরের বাসিন্দা সমীরণ সরকার। তাঁর বক্তব্য, ‘গোটা শহর জুড়ে পুলিশ ঘটা করে প্রচুর সিসি ক্যামেরা বসিয়েছিল। এখন নিজেদের বসানো সেই ক্যামেরার ফুটেজ কেন পাচ্ছে না পুলিশ? কেন বেসরকারি সংস্থা বা দোকানের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের?’ যদিও এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।