মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, ‘বাস কম থাকলে ফ্রিকোয়েন্সি তো বাড়ানো যেতে পারে। একটা শিফট বাড়িয়ে দিলেও তো কিছুটা সুরাহা পায় সাধারণ মানুষ। দরকার হলে অফিস টাইমে বাসের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে দিন।’ পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, বাস চালিয়ে সরকারের যে আয় হয় তার বেশিরভাগটা চলে যায় কর্মীদের বেতন দিতে।
এছাড়াও তেল কিনতে বিপুল টাকা খরচ হয়। তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে এই খরচ আরও বেড়ে গিয়েছে। দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য শোনার পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম মিলিয়ে একটি সংস্থা করা যায় কি না তা নিয়ে পরিকল্পনা করুন।’
এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা, পরিবহণ দপ্তরের সচিব সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার ট্রাম লাইন তুলে দেওয়ার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, টোটো প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জেলায় টোটোগুলি বেপরোয়া ভাবে যাতায়াত করে।
একে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। ফলে টোটো নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট টোটা নীতি তৈরি করতে হবে। উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় হাজার বাস চলাচল করার অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। নতুন বাস না নামালে যে আগামী দিনে সাধারণ মানুষের পক্ষে সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে সে কথা উপলব্ধি করেই মুখ্যমন্ত্রী এদিন শিফট বাড়ানোর কথাও জানান।