হাসপাতালের অনেকেই বলছেন, ‘তাঁর মতো মেয়ে আর পাওয়া যাবে না। তাঁর ব্যবহার, তাঁর চিকিৎসা, রোগীদের বোঝানো ছিল অনবদ্য। তিনি যখন জরুরি বিভাগে ডিউটি করেছেন, জখম রোগীদের স্টিচ বা সেলাই দেখে অন্যান্য সিস্টার-নার্সরা মুগ্ধ হতেন।’ এত ভালো স্টিচ করতে পারেন কতজন ডাক্তার? খুবই গুণী ছিলেন তিনি, মত সকলেরই।
প্রত্যেকের সঙ্গে ভালো ব্যবহার, সময়মত ডিউটিতে আসা তাঁর স্বভাবে ছিল। সর্বশেষ আইসিইউতে তিনি দায়িত্বভার মাথা উঁচু করে সুনামের সহিত সামলে গিয়েছেন। তিনি যখন আরজি কর হাসপাতালে চলে গেলেন মাতৃসদন ছেড়ে, তখন সবাই ভারাক্রান্ত হয়েছিলেন। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস স্পেশালাইজড এন্ড রিসার্চ সেন্টারের ইনচার্জ পঙ্কজ কান্তি চন্দ্র বলেন, ‘আমি এখানে আসার আগে উনি (আরজি করের ঘটনায় পরীটা চিকিৎসক) এখানে কর্মরত ছিলেন। ওঁর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়নি। তবে, এখানে এসে সকলের মুখে ওঁর কথা শুনেছি। ভাবতেই পারছি না, ওঁর এরকম পরিণতি হল!’ আইসিসিইউর সিস্টার বলেন, ‘ওঁর সঙ্গে অনেকদিন কাজ করেছি। হাতের লেখা ছিল মুক্তোর মতো। সকলের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন।’
ওয়ার্ড মাস্টার সুখেশ রায় জানান, ২০১৯ সাল থেকে করোনার সময়ে দায়িত্ব নিয়ে তিনি পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন। তাঁর মতো চিকিৎসক কম দেখা গিয়েছে। তাঁকে হারিয়ে আমরা সকলেই মর্মাহত। এই জঘন্য অপরাধের কী ধরনের শাস্তি হলে ডাক্তার পড়ুয়ার আত্মার শান্তি পাবে? হাসপাতালের অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরাও জানালেন, ‘অনেকেই হাসপাতালে আসেন,দায়িত্ব সামলান। আবার অন্যত্রে চলেও যান। কিন্তু তাঁর ব্যবহার, তাঁর কাজ মনে রাখার মতো।’