অভিযোগে ঠিক কী দাবি করা হয়েছে?
গ্রামের এক বাসিন্দা মহিলা বনদপ্তরের ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে মন্দারমণি কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ‘২ অগস্ট রাত ১১টার পর বনদপ্তরের রেঞ্জার মণীশা সাউ ও বিট অফিসার কৌশিক সিং সর্দারের নেতৃত্বে এবং তাঁদের সহযোগীরা আমাদের দোকানগুলি মেশিন এবং করাত দিয়ে কাটার এবং দোকানগুলিতে অগ্নিসংযোগ করে আমাদের উচ্ছেদ করার এবং প্রাণে মারার চেষ্টা করেছে।’ তিনি শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ এনেছেন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে। যদিও বন দপ্তরের তরফে জানানো হচ্ছে, এই অভিযোগের বিষয়ে তাদের কিছু জানা নেই।
উল্লেখ্য, বন দপ্তরের মহিলা আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন কারামন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাজপুরে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ নিয়ে অখিল গিরির সঙ্গে বচসা বাধে বন দপ্তরের ওই মহিলা আধিকারিকের। ওই মহিলা আধিকারিক বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা কিছু দোকান ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। এরপর একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় সরকারি ওই কর্মীকে একাধিক কটু কথা বলছেন অখিল গিরি। শুধু তাই নয়, তাঁকে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যজুড়ে। তৃণমূলের তরফেও কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছিল অখিল গিরির বিরুদ্ধে। তিনি মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেছিলেন। মহিলা আধিকারিককে ফোন করে গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে খোঁজখবর নিয়েছিলেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
অন্যদিকে, দলীয় তরফেও অখিল গিরির এই আচরণের নিন্দা করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। অখিল গিরি অবশ্য ওই মহিলা অধিকারিকের থেকে ক্ষমা চাননি। তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘উত্তেজনার মুহূর্তে যে কথাগুলো বলেছি তা হয়তো ঠিক হয়নি। তবে সেই সময় আমি যদি কোনও মন্তব্য না করতাম তাহলে আরও উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। কারণ গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ ছিলেন।’ এবার এই ঘটনায় নয়া মোড়। মহিলা বনদপ্তরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের এক গ্রামবাসীর।