সিদ্ধান্ত হয়েছে হুগলি নদীর পাড় রঙিন আলোয় মুড়ে ফেলা হবে। জায়গায় জায়গায় থাকবে পর্যটকদের বসার জন্য সুসজ্জিত চেয়ার৷ নদীর ধারে সেলফি পয়েন্টের কাছে ফোয়ারা ও বিভিন্ন ফুলের গাছে বাগান সাজানো হবে। থাকবে ক্যাফেটেরিয়াও। এ ছাড়াও আলোকচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে ডায়মন্ড হারবার শহরের ইতিহাস ও বিভিন্ন মনীষীদের কর্মকাণ্ড।
বিশাল একটি কংক্রিটের ঘাট বানানো হবে। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য মুক্তাঙ্গনের কাছে একটি ওপেন এয়ার থিয়েটারও গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের ঐতিহ্যবাহী কেল্লার একটি রেপ্লিকাও তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আপতত একটি বিশেষজ্ঞ টিম সৌন্দর্যায়নের প্রাথমিক রূপরেখা ঠিক করবে। সব ঠিক থাকলে ধাপে ধাপে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে নদীর ধারে সৌন্দর্যায়নের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কী ভাবে কী করা যায় এবং নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে একটি বৈঠক করা হলো।’ ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল নেতা শামিম আহমেদ বলেন, ‘আমরা চাই আগামী দিনে ডায়মন্ড হারবার আরও সেজে উঠুক। পর্যটকরা যেন নিশ্চিন্তে এখানে সময় কাটাতে পারেন, সেটা দেখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।’
পর্যটন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে নির্মীয়মান মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব-সহ একাধিক কাজের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক।