জানা গিয়েছে, কেতুগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক শিশুকন্যা খাট থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট নিয়ে শনিবার রাতে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়। রাত দেড়টা নাগাদ পুরুষ ওয়ার্ডের ভেতর থেকে অভিযুক্ত যুবক শিশুকন্যার মাকে দেখিয়ে কুরুচিকর ইঙ্গিত করে। যুবকের এই অশ্লীল কাণ্ড দেখে যুবতী ওয়ার্ডের বেড থেকে চিৎকার করলে অভিযুক্ত যুবক নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে। মহিলা ওয়ার্ডে অন্য রোগীর পরিজনরা যুবককে ধরে মারধর করে।
রাতেই অভিযুক্ত যুবক পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা তার শ্বশুর ওমর আলিকে ফেলে পালিয়ে যায়। কাটোয়া থানার মুলটি গ্রামের বাসিন্দা ওমর আলি শনিবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের পুরুষ সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। ওমর আলি বলেন, ‘রাতে এক মহিলা এসে আমার জামাইকে অপমান করছিল আমি শুনেছি। কিছু একটা কুকাজ ও করেছে। সকাল থেকে বসে আছি, জামাই আসেনি।’
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, ‘এই ঘটনা শুনেছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কাটোয়া থানাকে জানিয়েছি।’ পাশাপাশি দুটি সার্জিক্যাল মহিলা ও পুরুষ বিভাগের ওয়ার্ড করা হয়েছে। ওয়ার্ডগুলিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে এই ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কাটোয়া গ্রামীণ) রাহুল পাণ্ডে জানিয়েছেন, যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ওই যুবককে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সোমবার ধৃত যুবককে কাটোয়া মহকুমা আদালত পেশ করা হবে।