প্রথমে বনদপ্তরের নিজস্ব নার্সারিতে ডুমুর, বট, অশ্বত্থ ও পাকুড়ের চারা তৈরি করা হয়। তারপর মাটির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সার মিশিয়ে ওই চারাগুলিকে চটের থলেতে মুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিবেশের কথা ভেবে ব্যবহার করা হয়নি প্লাস্টিকের ব্যাগ। ফল হয় না এমন উঁচু গাছ নির্বাচন করে গাছের চারাগুলিকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে গাছের ডালে। প্রাথমিক ভাবে জলের অভাবে যাতে চারাগুলো মরে না যায়, তার জন্যে বেছে নেওয়া হয়েছে বর্ষাকালকে।
এক মাস আগে পরীক্ষামূলক ভাবে গাছের কোলে বসানো হয়েছে একশোটি গাছের চারা। পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, গাছের কোলে দিব্যি বড় হতে শুরু করেছে চারাগুলি। ঝড়ে বা যে কোনও দুর্যোগে চারাগুলো যাতে মাটিতে না পড়ে তার জন্যে শক্ত করে তাদের বাঁধা হয়েছে গাছের ডালের সঙ্গে। ফলবিহীন গাছ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে পিঠালি ও চিকরাশি গাছকে।
ঠিক কী ভাবে বেড়ে উঠবে গাছের চারাগুলি? জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণ সহায়ক নভোজিত দে বলেন, ‘সাধারণত ফিকাস প্রজাতির গাছে ঝুড়ি নামে। বেঁচে থাকার ক্ষমতাও অনেক বেশি। ওই চারাগুলিকে যে যে গাছের কোলে বসানো হয়েছে, অচিরেই তারা শেকড় বাড়িয়ে ওই গাছ গুলি থেকেই খাবার সংগ্রহ শুরু করবে। অদূর ভবিষ্যতে ওই আশ্রয় দেওয়া গাছগুলিকে মেরে দিয়ে এক সময় মহীরুহ হয়ে উঠবে। তাতেই বনের খাদ্যভাণ্ডার ফের সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। টানা এক মাসের পর্যবেক্ষণের পরে আমরা নিশ্চিত যে আমাদের ওই পদক্ষেপ সফল হবে।’