Jaldapara National Park: পাখি ও তৃণভোজীদের বাঁচাতে ‘ট্রি টপ প্ল্যান্টেশন’ জলদাপাড়ায় – jaldapara national park authority initiative to tree top plantation for save birds and herbivorous


এই সময়, আলিপুরদুয়ার: ট্রি টপ প্ল্যান্টেশন। গাছের উপরে গাছ। পাখি ও বন্যপ্রাণীদের খাদ্য ভাণ্ডার বাড়াতে এমনই পদক্ষেপ নিয়েছেন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। মাটিতে না পুঁতে গাছের চারা বসানো হয়েছে উঁচু গাছের উপরে। জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে জলদাপাড়ার গভীর জঙ্গল পরিদর্শনের সময়ে বনকর্তারা দেখেন ডুমুর, বট, অশ্বত্থ ও পাকুড় গাছের চারাগুলি সামান্য বড় হলেই তাদের মুড়িয়ে খেয়ে নিচ্ছে তৃণভোজীরা।এর ফলে ফিকাস প্রজাতির গাছের সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। ফলে তৃণভোজী বন্যপ্রাণী হরিণ, বাইসন, হাতি, গন্ডার ও খরগোশ তো বটেই জলদাপাড়ার আবাসিক হাজার হাজার পাখিদের খাদ্য ভাণ্ডারে টান পড়তে শুরু করেছে। ডুমুর, বট, অশ্বত্থের মতো ফিকাস প্রজাতির গাছের ফল বন্যপ্রাণী ও পাখিদের সুষম খাবার। এরপরেই পরীক্ষামূলক ভাবে ‘ট্রি টপ প্ল্যান্টেশন’-এ নামেন বনকর্তারা।

প্রথমে বনদপ্তরের নিজস্ব নার্সারিতে ডুমুর, বট, অশ্বত্থ ও পাকুড়ের চারা তৈরি করা হয়। তারপর মাটির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সার মিশিয়ে ওই চারাগুলিকে চটের থলেতে মুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিবেশের কথা ভেবে ব্যবহার করা হয়নি প্লাস্টিকের ব্যাগ। ফল হয় না এমন উঁচু গাছ নির্বাচন করে গাছের চারাগুলিকে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে গাছের ডালে। প্রাথমিক ভাবে জলের অভাবে যাতে চারাগুলো মরে না যায়, তার জন্যে বেছে নেওয়া হয়েছে বর্ষাকালকে।

এক মাস আগে পরীক্ষামূলক ভাবে গাছের কোলে বসানো হয়েছে একশোটি গাছের চারা। পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, গাছের কোলে দিব্যি বড় হতে শুরু করেছে চারাগুলি। ঝড়ে বা যে কোনও দুর্যোগে চারাগুলো যাতে মাটিতে না পড়ে তার জন্যে শক্ত করে তাদের বাঁধা হয়েছে গাছের ডালের সঙ্গে। ফলবিহীন গাছ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে পিঠালি ও চিকরাশি গাছকে।

ঠিক কী ভাবে বেড়ে উঠবে গাছের চারাগুলি? জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণ সহায়ক নভোজিত দে বলেন, ‘সাধারণত ফিকাস প্রজাতির গাছে ঝুড়ি নামে। বেঁচে থাকার ক্ষমতাও অনেক বেশি। ওই চারাগুলিকে যে যে গাছের কোলে বসানো হয়েছে, অচিরেই তারা শেকড় বাড়িয়ে ওই গাছ গুলি থেকেই খাবার সংগ্রহ শুরু করবে। অদূর ভবিষ্যতে ওই আশ্রয় দেওয়া গাছগুলিকে মেরে দিয়ে এক সময় মহীরুহ হয়ে উঠবে। তাতেই বনের খাদ্যভাণ্ডার ফের সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। টানা এক মাসের পর্যবেক্ষণের পরে আমরা নিশ্চিত যে আমাদের ওই পদক্ষেপ সফল হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *