বাগুইহাটির বাসিন্দা সুবীর দে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি দেন নিজের এজেন্সির মাধ্যমে। অভিযুক্ত অভিজিতের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। সুবীরকেই অভিজিৎ বলেছিলেন, সরকারি চাকরি করে দেওয়ার সুযোগ তাঁর কাছে রয়েছে। এর জন্য যোগ্য প্রার্থী জোগাড় করে দিতে। এরপর সুবীর বেশ কয়েকজনকে অভিজিতের সঙ্গে আলাপ করান।
সুবীরের স্ত্রী মৌমিতার দাবি, তাঁদের বাড়ির পাশে এক মহিলাকে রেলের চাকরির সুযোগের কথা জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। এমনকী, ওই মহিলার থেকে টাকা নিয়ে অভিজিৎ চৌধুরীকে দেন তাঁরা। কিন্তু, চাকরি মেলেনি। এরপর অভিজিতের চুঁচুড়া কাপাসডাঙার বাড়িতে একাধিক প্রতারিতরা পৌঁছন। সঙ্গে ছিলেন সুবীর ও মৌমিতাও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘টাকা দিয়ে এভাবে চাকরি পাওয়া যায় না। অভিজিতের মতো মানুষের থেকে দূরে থাকার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করব।’
অভিজিতের স্ত্রী স্বপ্না চৌধুরীর অবশ্য দাবি, স্বামীর কীর্তির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তাঁর স্বামী কাজের সূত্রে আসানসোলে গিয়েছেন। অভিজিৎ আগে গৃহশিক্ষকতা করতেন। পরে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। তবে রেলের চাকরি তিনি কোনওদিন করেননি। স্থানীয় সূত্রে খবর, পানশালার মহিলা কর্মীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেন তিনি।
স্বপ্না বলেন, ‘স্বামী সংসারের কোনও দায়িত্ব নেয় না। আমার উপরেও অত্যাচার করে। ও কার থেকে টাকা নিয়েছে সেই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’ সুবীর দে বলেন, ‘আমি অভিজিৎকে বিশ্বাস করেছিলাম। ও যে এভাবে ঠকাবে, তা বুঝতে পারিনি।’ এদিকে হট্টোগোলের খবর পেয়ে সেখানে যায় চুঁচুড়া থানার পুলিশ। প্রতারিতদের অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।