এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি যুক্ত বলে দাবি করছেন তাঁর বাবা-মা। মৃত চিকিৎসকের মা জানান, আরজি কর হাসপাতালের বুকের রোগ নিরাময় বিভাগের সকলের উপরেই তাঁদের সন্দেহ রয়েছে। এই ডিপার্টমেন্টের আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে বলে তাঁরা সন্দেহ করছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাঁরা পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
চিকিৎসকের বাবার কথায়, ‘আমাদের মনে হচ্ছে, ভেতরের কোনও লোক জড়িত আছে। একাধিক লোক জড়িত আছে। সেই সন্দেহের কথা আমি পুলিশকে জানিয়েছি।’ পুলিশ ইতিমধ্যে সঞ্জয় রায় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সে জিজ্ঞাসাবাদে নিজের দোষের কথা স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। চিকিৎসকের বাবার দাবি, তাকে কেউ যে ‘সুপারি’ দেয়নি এর কি গ্যারান্টি আছে? তাকে ওই কাজের জন্য তো কেউ পাঠাতে পারে।
এর পাশাপাশি তাঁদের মেয়ে মানসিক চাপে ছিলেন বলেও জানান বাবা-মা। আরজি কর হাসপাতালে মন খুলে কাজ করতে পারতো না তাঁদের মেয়ে। উপরমহল থেকে নানারকম ভাবে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হতো। চারজন পুরুষ ডাক্তারের সঙ্গে একজন মহিলা হিসেবে তাঁকে ডিউটি দেওয়া হতো দিনের পর দিন। ছিল না মহিলাদের আলাদা কোনও রুমের ব্যবস্থা। সেইসব কথাও তুলে ধরেন পুলিশকর্তার সামনে। অন্যদিকে, এডিসিপি মুরলীধর শর্মা বলেন, ‘যে মেয়েটি মারা গিয়েছে, সে আমাদের বোন বা ভাইঝির মতো। দোষীকে শাস্তি দেওয়া হবে। এর শেষ দেখে আমার ছাড়ব।’ আগামীকাল, আরজি কর হাসপাতালে তাঁরা ধরনায় বসবেন বলে জানান চিকিৎসকের মা-বাবা।