Flood Situation,বন্যা রুখতে মজে যাওয়া খাল, ছোট নদী চিহ্নিত করার নির্দেশ সেচ দপ্তরের – irrigation department order to identify canals and small rivers to prevent flood


সুগত বন্দ্যোপাধ্যায়
টানা বৃষ্টি ও ডিভিসি-র ছাড়া জলে সপ্তাহ খানেক আগেই প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের অনেকগুলি জেলায়। এ বারের বর্ষার মরশুম এখনও শেষ হয়নি। তাই বর্ষার শেষ দিকে যাতে রাজ্যে বন্যার মতো পরিস্থিতি না-তৈরি হয়, তার জন্য বিভিন্ন জেলায় মজে যাওয়া খাল ও ছোট নদীগুলির পলি সংস্কারের প্রস্তাব দ্রুত কার্যকর করার কথা বিবেচনা করছে রাজ্যের সেচ দপ্তর।ইতিমধ্যে জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে রাজ্যের সেচ সচিব প্রভাত মিশ্র মজে যাওয়া বা যেতে বসা ছোট নদী ও খালগুলিকে চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেচ সচিব জানান, মজে যাওয়া খাল ও ছোট নদীগুলির পলি সংস্কার না করলে কোনও ভাবেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আটকানো যাবে না ভাঙনও।

সেচ দপ্তর সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টি শুরু হতেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে। গত বুধবার নদীর নিম্ন অববাহিকার ১৩০ মিটার জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে তাদের কাছে খবর এসেছে। এরমধ্যে শিবপুর গ্রামটি নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। সেখানে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলছে। এই পরিস্থিতিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণের জন্য জেলাশাসকদের উদ্দেশে সেচ সচিব লিখেছেন— অতি বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হওয়ার অন্যতম কারণ ক্রমাগত পলি জমে খাল ও ছোট নদীগুলি মজে যাওয়া।

সেগুলি জল ধারণ ক্ষমতা হারিয়েছে। তাই এখনই জেলায় জেলায় মজে যাওয়া বা জল ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া খাল ও নদীগুলি চিহ্নিত করে পলি তুলে সংস্কারের প্রস্তাব পেশ করতে বলা হয়েছে। সেচ দপ্তরের যুক্তি, এটা দ্রুত না-করা গেলে বর্ষায় বন্যার মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, পলিতে মজে যাওয়া খালগুলির জমি জেলা কালেক্টরেটের নামেই রেকর্ড করা রয়েছে।

Goods Train : ফের দুর্ঘটনার কবলে মালগাড়ি, মালদায় লাইনচ্যুত ৫টি বগি

তার ফলে এগুলি চিহ্নিত করে পলি তোলার কাজ করা সহজ হবে। সেচ সচিব এই প্রসঙ্গে নদিয়ায় সম্প্রতি মজে যাওয়া বুড়িগঙ্গার পলি তুলে তার পুনরুজ্জীবনের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন জেলাশাসকদের। প্রসঙ্গত, বন্যা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার আগেই বৃষ্টির জল ধরে রাখতে জেলায় জেলায় ‘জল ধরো, জল ভরো’ কর্মসূচির মাধ্যমে পুকুর কাটার উদ্যোগ নিয়েছে।

১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের মাধ্যমে এই কর্মসূচি রূপায়ণ করা হয়েছে। এতে জেলাগুলিতে সরকারি জমিতে লক্ষাধিক পুকুর কাটা হয়েছে। এ বার সরকার ধাপে ধাপে মজে যাওয়া খাল ও ছোট নদী সংস্কার করতে চায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *