টার্গেট ছিলেন ওই তরুণীই?
ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তরুণীর গলার কণ্ঠ এবং থাইরয়েডের হাড় ভেঙে গিয়েছে। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সে জায়গায় প্রশ্,অভিযুক্তকে এমন কেউ সাহায্য করেনি তো, যাঁর চিকিৎসাবিদ্যায় জ্ঞান রয়েছে? একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, ওই তরুণী সে দিন চার তলার সেমিনার রুমে ছিলেন? সেই তথ্য অভিযুক্ত জানল কী ভাবে? সেদিন সেমিনার হলে ওই তরুণীর বদলে তো অন্য কেউও থাকতে পারত? তা হলে কি তাঁর সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটত? নাকি ওই তরুণীই ছিলেন টার্গেট? নিহত তরুণীর মা পুলিশের কাছে ‘সুপারি’ দিয়ে খুনের অভিযোগ করেছেন। এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘কোনও সম্ভাবনাই আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না।’
DNA নমুনা পরীক্ষা
লালবাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, সঞ্জয় রায় হিস্ট্রি শিটার অর্থাৎ তার অতীতে কোনও অপরাধের ইতিহাস রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের DNA নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা। শিয়ালদহ আদালতে বিচারকের অনুমোতিতে ধৃত এবং নিহত মহিলা চিকিৎসকের দু’টি মোবাইল ফোন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
অপারেশন থিয়েটার খুঁজতে দিয়ে ধর্ষণ!
ঘটনার দিন ফিরে সকালে পরিচিত এক দাদাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল সঞ্জয়। খবরে ধর্ষণ-খুনের বিষয়টি দেখার পর, সেই ব্যক্তি সঞ্জয়কে ফোন করেছিলেন। তাঁকে সঞ্জয় বলেন, ‘তাই নাকি। দেখছি কী কেস হয়েছে?’ এক বারের জন্যেও বুঝতে দেয়নি, আসলে হাড়হিম ঘটনার নেপথ্যে সেই রয়েছে। জিজ্ঞাসবাদের মুখেও এমনই বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছে কীর্তিমান। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জয়ের দাবি, ওই রাতে সে অপারেশন থিয়েটার খুঁজতে গিয়েছিল। তখন ওই মহিলা চিকিৎসককে সেখানে দেখেন। তরুণীর উপর পাশবিক নির্যাতনের পর মদ্যপান করে ৪ নম্বর ব্যাটালিয়নে ফিরেও যায় সে।